,
শিরোনাম
জগন্নাথপুরে জাতীয় ইমাম সম্মেলন সম্পন্ন হযরত মাওলানা মরহুম এমদাদুর রহমান (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে মীলাদ ও দোআ মাহফিল এবং অসহায় গরীবদের মাঝে কাপড়  বিতরণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে মামলা দায়ের বাতিল হতে পারে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্তে বেরিয়ে এলো যাদের নাম শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন ড. ইউনূস আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে দেয়া বিবৃতি পুরোপুরি মিথ্যা: জয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ উপদেষ্টা পরিষদের ৮ সিদ্ধান্ত

ভয়াবহ ভূমিকম্পে জনশূণ্য হতে পারে সিলেট ভূমি


দৃক নিউজ২৪: সিলেট অঞ্চলে সর্বশেষ ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ জুন। ওইদিন বিকাল সোয়া ৫টার দিকে প্রলংয়কারী ভূমিকম্প ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থ কোয়াক’ নামে ইতিহাসে পরিচিত। সে হিসেবে, সিলেট অঞ্চলে ভয়ানক ভূমিকম্প হওয়ার সময় এক শতাব্দি তথা ১শ বছর পেরিয়ে গেছে। আর তাই ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোনে পড়া সিলেটে যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূকম্প ঘটতে পারে। কেননা, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ১শ বছর পর পর বেশি মাত্রার ভূকম্প হয়ে থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউকি ফল্টে যদি ৮ মাত্রার ভূকম্প হয়, তবে সিলেট জনশূন্য হয়ে যাবে।

ইতিহাস বলছে, ১৫৪৮ সালে প্রচন্ড ভূমিকম্পে সিলেট এলাকায় ব্যাপক ভূ-পরিবর্তন ঘটে। উঁচু-নিচু ভূমি সমতলে পরিণত হয়। এরপর ১৬৪২, ১৬৬৩, ১৮১২ ও ১৮৬৯ সালের ভূমিকম্পে সিলেটের মানচিত্র অনেকটাই পাল্টে যায়। সিলেটে এ যাবৎকালের মধ্যে ১৮৯৭ সালের ১২ জুন বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সংঘটিত ভূমিকম্প ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থ কোয়াক’ নামে পরিচিত। ৮ দশমিক ৭ মাত্রার সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ বর্গ কি.মি. এলাকার পাকা দালানকোঠার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। শুধু সিলেট জেলারই ৫৪৫টি ভবন ভেঙে পড়ে। মারা যান অসংখ্য মানুষ। ওই ভূকম্পের ফলেই সিলেট জুড়ে সৃষ্টি হয় বিশালাকারের হাওর, বিল, জলাশয়ের। পরবর্তীতে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই ৭.৬ মাত্রার ভূকম্প সংঘটিত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, সিলেট অঞ্চল যে টেকনোটিক প্লেটে রয়েছে, তা ক্রমেই উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। এক শতাব্দিতে তা এক মিটার করে সরছে। এ কারণে এ অঞ্চল প্রবল ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশে ৩টি ভূকম্প বলয়ের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তথা প্রথম বলয়েই রয়েছে সিলেট। এ বলয়ে ৭ থেকে ৯ মাত্রার ভূকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় প্রতি ১শ বছর পর পর বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটতে পারে। সিলেটে ১৮৯৭ সালে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ১শ বছরের বেশি। যে কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের আরেকটি ভূমিকম্পের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউকি ফল্টে রিখটার স্কেলে ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূকম্প হলেই সিলেটে পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর ভূমিকম্পের মাত্রা যদি হয় ৮, তবে জনশূন্য বিরাণ ভূমিতে পরিণত হবে সিলেট। রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রার ভূকম্পের কয়েক সেকেন্ডে গোটা সিলেটে হাজার হাজার ভবন মাটির সাথে মিশে যাবে। প্রাণহানি ঘটবে লাখ লাখ মানুষের। ক্ষতি হবে হাজার হাজার কোটি টাকার। এমনিক ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, ডাউকি ফল্টে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পৃথিবীর মানচিত্র থেকেই মুছে যেতে পারে সিলেট!

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ভিাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ভূমিকম্পের স্থায়ীত্ব ৩০-৪০ সেকন্ড হয়ে থাকে। কিন্তু গত ২৫ এপ্রিল, শনিবার যে ভূকম্প হয়েছে, সেটা বিস্ময়করভাবে ৯০ সেকন্ড স্থায়ী ছিল। এটা অবশ্যই বিপদসংকেত।’

তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ডাউকি থেকে মাত্রা ২শ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সিলেট। ডাউকি পয়েন্টে যদি ৬ মাত্রার ভূকম্পও হয়, তবে পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর যদি ৭.৯ মাত্রার ভূকম্প হয়, তবে সিলেট নগরী বলে কিছুই থাকবে না। ১০-১৫ হাজার ভবন নিমিষেই মাটির সাথে মিশে যাবে।

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৫:০২
  • দুপুর ১১:৪৭
  • বিকাল ৩:৩৬
  • সন্ধ্যা ৫:১৫
  • রাত ৬:৩১
  • ভোর ৬:১৬