দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ হত্যা মামলার আবেদন করেন এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যবসায়ী। দুপুরে সিএমএম কোর্ট বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে। পরে এ আদেশ দেয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, “মোহাম্মদপুর থানাকে মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”এছাড়া থানা তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয়ার পর আদালত সে অনুযায়ী আদেশ দেবে বলে জানিয়েছেন মি. মিয়া।
বাদী মি. হামজা আদালতে বলেছেন, ১৯শে জুলাই মোহাম্মদপুর বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশীদ এবং অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, আবু সায়েদ হত্যার তদন্ত হলে অজ্ঞাতনামা আরও তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যদের নাম উঠে আসবে।
নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন।
এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলা করেছেন বলে বাদী এজাহার আবেদনে উল্লেখ করেন।
পাঁচই আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হলো।
More News Of This Category