মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি# ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষের একটি নোটিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সামাজিক যোগাযো মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, হলের ভেতর দিন বা রাত হোক, কখনোই ছাত্রীদের অশালীন পোশাক (সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি) পরা যাবে না। এ পোশাকে হলের কার্যালয়ে কোনো কাজের জন্য ঢোকা যাবে না। কেউ যদি তা করেন, তবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হল কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। এই ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একাধিক ভুল বানানে দেওয়া এ নোটিস নিয়ে অনেকেই সমালোচনাও করছেন ফেসবুকে। হলে ছাত্রীদের পোশাকের স্বাধীনতায় হল কর্তৃপক্ষের ‘এমন হস্তক্ষেপ’ মেনে নেওয়ার মতো না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
মন্তব্যে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, হলটি ‘মহিলা মাদ্রাসা’ কি না? এছাড়াও হলের ছাত্রীদের মধ্যে ওই নোটিশের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কেউ কেউ লিখেছেন হলের কিছু ছাত্রী দৃষ্টিকটু পোশাক পরিধান করে থাকেন। তাদের জন্য এ ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ হলের জনৈক ছাত্রী লিখেছেন যেকোনো আবাসস্থলে কোনটা শালীন পোশাক আর কোনটা অশালীন পোশাক, সেই মানদণ্ড কোনো ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দিতে পারে না। শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরে যে পোশাক স্বস্তিদায়ক মনে করেন, সেটাই পরে থাকেন। এ ধরনের নিয়ম কার্যকর করা হলে তা যেকোনো প্রগতিশীল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দুঃখজনক।
প্রকাশ, ২০১২ সালে নতুন এ হলটি নির্মিত হলেও ২০১৩ সাল থেকে সেখানে আবাসিকতা পান ছাত্রীরা। বর্তমানে হলের আবাসিক ছাত্রী সংখ্যা দুই হাজার এবং অনাবাসিক ছাত্রীসংখ্যা তিন হাজার তিনশত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলটি উদ্বোধন করেছিলেন। আর নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন কাজ করা কবি সুফিয়া কামালের নামে হলটির নামকরণ করা হয়েছে।
More News Of This Category