নিজস্ব প্রতিবেদক# গত সোমবার (২১ আগষ্ট ২০১৭ইং) সিলেটে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় দুবাই প্রবাসী কাতারুজ্জামান কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোঃ আব্দুল হালিম এরায় প্রদান করেছেন।দন্ড প্রাপ্ত আসামী কাতারুজ্জামান বিয়ানিবাজারের মাথিউড়া গ্রাম নিবাসী মৃত সাখায়েত আলীর ছেলে।তিনি কাতার প্রবাসী ছিলেন। কাতারুজ্জামান এই মামলায় জামিন ছিলেন। গতকাল আদালতে হাজিরা দিলে আদালত রায় ঘোষনা শেষে তাকে কারগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন বলে বিস্বস্ত সুত্রে জানগেছে।
প্রকাশ, ২০১৪ সালের ১ লা মে কাতার প্রবাসী কাতারুজ্জামান কাতার থেকে দেশে ( বাংলাদেশে) আসার সময় সিলেটের এম,এ,জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ছয়টি স্বর্ণের বার সহ আটক হন। তার বডি চেক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ এ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইমিগ্রশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আলী আনোয়ার বাদী হয়ে বিমান বন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬ তারিখ ০২/০৫/২০১৪। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বার পুলিশ বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রদান করে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি মোঃমাসুক আহমদ সলবীকার করেন। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ শাহজাহান তদনলত শেষে একই বছর ৬ আগষ্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত ২০১৫ সালের৮ এপ্রিল আসামী কাতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচারান্তে চার্জশীটভূক্ত ১১ জন সাক্ষীর সা সাক্ষ্য গ্রহন ও যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। গতকাল সোমবার আদালত আসামী কাতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়যায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ২০ হাজারটাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
উচ্চ আদালত একই বছর ২৩ শে আগষ্টের মধ্যে এ মামলার বিচার কার্য নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিলে গতকাল (সোমবার ২১ আগষ্ট) আদালত যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় প্রদান করেন। মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের এডিশনাল পিপি মোঃ মাসুক আহমদও আসামী পক্ষ্যে মোঃ রেজাউল করিম চৌধূরী ও মিসবাউর রহমান আলম।
More News Of This Category