,

ভিটে মাটিতে ঘর না থাকায় বাড়ী ফিরতে পারছেন না বন‌্যা দূর্গতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- অকস্মিক বন‌্যার কবলে ঘর হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে টানা ৩০দিন অন‌্যের বাড়ীতে আশ্রিত টলি চালক দিনমজুর ছুট মিয়া। ভয়াবহ বন্যায় তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়েছে পানির স্রোতে। নিঃস্ব হয়ে পড়ায় নতুন ঘর নির্মান করতে পারছেন না তিনি।

ছোট মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের। টলি চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন।

ছোট মিয়া শনিবার দৃক নিউজ ডটকমকে জানান, গত ১৭ জুন ভয়াবহ ঢলে তাঁর বসতঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায়। অনেক কষ্টে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে গ্রামের এক আত্বীয়র বাড়ীতে আশ্রয় নেন। সংসারের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন টলিটি পানিতে তলিয়ে যায়। নষ্ট হয়ে গেছে রিকশার ইঞ্জিন।

বর্তমানে সহায়তা নির্ভশিল ছোট মিয়া বলেন, ‘পানি নেমে গেলেও নতুন ঘর তুলা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। সহযোগিতা ও ঋণ নিয়ে টলিটি মেরামত করলেও তেমন রোজগার ও করতে পারছেন না। ঘর নির্মান তো দুরের কথা ঠিকমত খাবার জোগার করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।

শুধু ছোট মিয়া নন, তাঁর মতো শত শত পরিবারের বসতবাড়ি তীব্র স্রোতে ভেসে যায় এবং ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গত ১৭ই জুন থেকে টানা ৪দিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। হাজার হাজার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। লাখো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু বাসাবাড়িতে আশ্রয় নেয়।

হাওরপারের বাসিন্দা উপজেলার সাদিপুর গ্রামের দরিদ্র মহন মিয়া বলেন, ‘বন্যা, আফাল আর ঢেউয়ে বসতবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আত্মীয়ের বাড়িতে এখনো পরিবারের লোকজন নিয়ে আছি। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি কিভাবে সংস্কার করব ভেবে পাচ্ছি না। হাতে কোনো টাকা-পয়সা নেই। মানুষের সহায়তায় কোনোভাবে বেঁচে আছি।’

কলকলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম‌্যান আলহাজ্ব রফিক মিয়া বলেন এবার ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত করে দিয়েছে হাওরাঞ্চলের বাড়িঘর। বন্যার ঢলের সঙ্গে আফাল আর ঢেউয়ে ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি মেরামতে কঠিন ভাবে লড়ছে হাওরপারের মানুষ। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মধ‌্যে দুইশত বান টিন দিয়ে সহযোগিতা করেছি। প্রত‌্যেক বৃত্তবান মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়ত উপকার হবে।

উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (পিআইও) শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জানান, জগন্নাথপুরে একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে বন্যায় সাড়ে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমরা প্রথম ধাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক উপহার হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪০ পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি।’

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৪:৩২
  • দুপুর ১১:৫৭
  • বিকাল ৪:১৯
  • সন্ধ্যা ৬:০৬
  • রাত ৭:২০
  • ভোর ৫:৪৪