আলহাজ্জ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম:- বাংলাদেশ সরকার সুনামগঞ্জ জেলা হেড কোয়ার্টারে রেল সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ সদর এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলা হয়ে জাউয়া বাজার, ধারণ বাজার হয়ে গোবিন্দগঞ্জে মূল লাইনে মিলিত হবে। বাস্তবতার দিক দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করলে রেললাইন ছাতক দোয়ারা বাজার উপজেলার উত্তরাঞ্চল হয়ে সুনামগঞ্জে পৌঁছে আবার ছাতক উপজেলার মধ্যাঞ্চল দিয়ে গোবিন্দগঞ্জে (ছাতকেরই অংশ) গিয়ে মূল লাইনে মিলিত হবে। একই উপজেলার দুই পার্শ্ব দিয়ে রেললাইন নির্মাণের ফলে কিছু নির্দিষ্ট এলাকার জনগণের যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনের ব্যাপক পরিবর্তন আসবে নিশ্চিত।
পক্ষান্তরে উত্তর ছাতক দোয়ারা হয়ে সুনামগঞ্জ শান্তিগঞ্জ হয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর এবং নবীগঞ্জ হয়ে হবিগঞ্জে গিয়ে মূল লাইনের সাথে রেললাইন সংযুক্ত করতে পারলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে। জগন্নাথপুর, দক্ষিণ ছাতক, এবং নবীগঞ্জ উপজেলা প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা তা সর্বজনের জানা। বিশেষ করে জগন্নাথপুরের আশি শতাংশ পরিবারই প্রবাসী। প্রবাসীরা নিজ দেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেলে প্রায় সকলেই বিনিয়োগ করতে মনে প্রাণে আগ্রহী। তাদের এলাকায় উন্নত সড়ক পথ ও রেলপথের সংযোগ সৃষ্টি হলে এবং পার্শ্ববর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে আমার বিশ্বাস প্রবাসীরা দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে এগিয়ে আসবেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় রেলমন্ত্রী, মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় নিবেদন সুষ্ঠু জরিপ করে বিষয়টির পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে আপনাদের কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ইতি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন নিবেদিত প্রাণ।
আলহাজ্জ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মোল্লারগাঁও (বালিকান্দি), জগন্নাথপুর।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রাক্তন শিক্ষক আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রাক্তন লেকচারার স্যান্ডওয়েল কলেজ, ইউকে।
প্রধান উপদেষ্টা কলকলিয়া ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।