নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটের কোতোয়ালী থানার উপশহর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় দুই প্রতিবেশি পরিবারের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় একজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট উপশরের ডি ব্লকের বাসিন্দা ময়নুল ইসলাম এবং তার প্রতিবেশি ছাত্রলীগ নেতা আসিফ আহমদের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ২০১৮ সালে আসিফের পিতা ফখরুল আহমদ তার বিল্ডিয়ের পরিসীমা বাড়ানোর জন্য পাশ্ববর্তী ময়নুল ইসলাম এবং শশুর আব্দুল হামিদের যৌথ মালিকানাধীন জমির কিছু অংশ ক্রয় করার জন্য ময়নুল ইসলামের নিকট প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজী না হলে শুরু হয় দ্বন্দ। গত ১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে দুইপক্ষের মধ্যে উক্ত জমি নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায় তা গুরুতর সংঘর্ষে রূপ নেয়।ঐ দিন ময়নুল ইসলামের শ্যালক আরিফ আহমদ গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে উক্ত জমি নিয়ে তাদের মধ্যে চলছিলো বিরোধ। ময়নুল ইসলাম বাদী হয়ে আসিফ আহমদ ও তার পরিবারের জমি জবর দখলের চেষ্টা বন্ধের জন্য আইনি সহায়তা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) উক্ত মামলার রায় প্রদান করে কোর্ট। রায়ে বলা হয়, ময়নুল ইসলামের জমিতে দখলের চেষ্টা চালাতে পারবে না আসিফ আহমদ ও তার পরিবার। এবং পুলিশ উপস্থিত থেকে উভয়পক্ষের সীমান আলাদা করে দেয়। কোর্টের নির্দেশে গতকাল সকাল ১০ টায় পুলিশের একটি ফোর্স উপস্থিত থেকে সীমানা আলাদা করে দিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ স্থান ত্যাগ করতে না করতেই ময়নুলের উপর হামলা চালায় আসিফ ও তার অনুসারীরা। এতে ময়নুলের পরিবারের লোকজনও প্রতিরোধ গড়ে তুলার চেষ্টা চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আসিফের ছোট ভাই অমিত গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আসিফ আহমদ ১০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। মামলার আসামীরা হলেন ১) আরিফ আহমদ, ২) ময়নুল ইসলাম, ৩) নজরুল ইসলাম, ৪) দেলওয়ার হোসেন, ৫) হামাস আহমদ, ৬) ছলু মিয়া, ৭) ওয়াহিদ উদ্দিন, ৮) কাশেম মিয়া, ৯) সাকিব সিদ্দিকি ও ১০) জাবেদ আহমদ।