মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি# বৃষ্টি -বাদল কে উপেক্ষা করে ব্যাপক উৎসাহ – উদ্দীপনায় নদী ও পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর সহ সবকটি পূজা মণ্ডপে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব।
শনিবার সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে বিজয়া দশমী পূজা শুরু হয়। মণ্ডপগুলোতে চলে সিঁদুরের আর রঙ্গের খেলা এবং আনন্দ উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা দেবী প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন, নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরান ও রং লাগান। চলে মিষ্টিমুখ করানো, ছবি তোলা ও ঢাকের তালে তালে নাচ-গান।বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে বিজয়া শোভাযাত্রার মাধ্যমে বিভিন্ন বাহনে প্রতিমাগুলোকে নদীর তীরে ও পুকুর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর একে একে উপজেলায় অনুষ্ঠিত সবকটি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
বিগত ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের” সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়। এরপর যথাক্রমে মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার-হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচারাদি ও পূজা-অর্চনার মাধ্যমে দুর্গাদেবীর করুণা প্রার্থনা করেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিজয়া দশমীতে জগন্নাথপুরের বিভিন্ন নদ-নদী ও পুকুর জলাশয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবীদুর্গাকে বিসর্জন দিয়েছেন। এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৫ টি মন্ডপে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার নৌকায় চড়ে মর্তলোকে (পৃথিবী) আসেন। স্বর্গালোকে বিদায় নেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।
শনিবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দশমীর দিনে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হয় সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে। পরে বিকালে দেবী দুর্গা ও অন্যান্য দেব-দেবীর বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
More News Of This Category