সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক:- কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম কর্মসূচী জগন্নাথপুরে বন্ধ রয়েছে। আর কবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেননা। যার ফলে ২৬ হাজার নিবন্ধনকারী দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জনসাধারণ মরনব্যাধী করোনাভাইরাস এর প্রতিষেধক টিকা নিতে প্রথমে অাগ্রহী ছিলেন না। এমনকি নানামুখী গুজবে পিছিয়ে ছিলেন। এসময় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিষয়য়ে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকল সহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর ইতিবাচক প্রচারণায় মানুষের মনের আতঙ্ক দূরবর্তী হয়। দিনে দিনে উপজেলায় বাড়তে থাকে টিকা গ্রহণকারী ও নিবন্ধনকারীদের সংখ্যা।
চলতি সনের ৭ ই ফেব্রুয়ারী থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম কর্মসূচী। এর পর থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ সারিবদ্ধ ভাবে টিকা নেন। এরই মধ্যে বিগত ২৯ শে আগষ্ট রোববার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এদিন টিকা নিতে আসা অসংখ্য নিবন্ধনকারী মানুষ নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। কবে এই টিকাদান কার্যক্রম পুনঃরায় চালু হবে তা সংশ্লিষ্ট কেউ বলতে পারছেন না।
এ পর্যন্ত জগন্নাথপুর এর মোট ৫১ হাজার জনসাধারণ কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তমধ্যে মাত্র ২৫ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ২৬ হাজার নিবন্ধনকারী এখনো টিকা নেওয়ার বাকী আছেন। ফলে নিবন্ধন করেও টিকা নিতে না পারায় দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন নিবন্ধনকারী সহ উপজেলার অন্যান্য জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে জানতে একান্ত আলাপকালে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর বলেন, টিকা সংকট এর কারনে আপাতত টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ২৯ শে আগষ্ট টিকা গ্রহণ এর জন্য কাউকে ম্যাসেজ দেওয়া হয়নি। তবুও অনেকে এসে ফিরে গেছেন। টিকা আসলেই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, জগন্নাথপুরে এ পর্যন্ত বৈশ্বিক মহামারী মরনব্যাধী করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৫ জন। তমধ্যে মৃত্যু বরণ করেছেন ১৭ জন, সুস্থ ৫১১ জন, হাসপাতাল আইসোলেশনে ৬ জন ও হোম আইসোলেশনে ৩১ জন রয়েছন।
জামাল/এস/এস
More News Of This Category