দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাকের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় প্রার্থী আবু আশফাকসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আহত হয় অন্তত ২৫ নেতাকর্মী। বুধবার বিকেলে দোহারের লটাখোলা করম আলী মোড় থেকে ধানের শীষের প্রতীকের মিছিল বের হলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে দোহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাক। প্রচারণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার লটাখোলা করম আলীর মোড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে সমেবত হয় নেতাকর্মীরা। পরে করম আলীর মোড় থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিএনপির প্রার্থী আবু আশফাককে আটক করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে।
এ বিষয়ে আবু আশফাকের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে, তার সাথে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ।
আটক হওয়ার আগে নির্বাচনী মিছিল শেষে বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাক বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় কেউ রুখতে পারবে না। পুলিশ এখানো হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে নেতাকর্মীদের। পুলিশের এ ধরণের আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। মানুষ এখন পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। যে কারণে ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে।
এদিকে এ ঘটনার পরপর বুধবার সন্ধ্যার দিকে নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের পক্ষে মিছিল বের করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেন, লটাখোলা করম আলী মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে থাকা দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা আমাদের দুই কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
More News Of This Category