দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে এবারও ভোটযুদ্ধ হবে চাচা-ভাতিজার মধ্যে। এ আসন থেকে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁন।
প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফজলুল হক চাঁনের বড় ভাই প্রয়াত সাবেক এমপি ডা. সেরাজুল হকের ছেলে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন।
আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারে পর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে চাচা ও ভাতিজা ভোটযুদ্ধের মরণপণ লড়াইয়ে নেমে পড়বেন। সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নিয়ে রেখেছেন তারা।
জেলা নির্বাচন অফিস ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ইতোপূর্বে প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁন নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারই ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হেদায়েতুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৯৬ হাজার ২৩৪ ভোটে বিজয়ী হন। হেদায়েতুল পেয়েছিলেন ৮ হাজার ৫৪৮ ভোট।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁন প্রথমবার ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির প্রার্থী ভাতিজা সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সেবার রুবেল ভোট পান ৬৫ হাজার ৭৫৩ ভোট।
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ বারীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাহমুদুল হক রুবেল ৮৬ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে এমএ বারী ভোট পেয়েছিলেন ৫৮ হাজার ৩৯৬ ভোট।
১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রুবেল এমপি নির্বাচিত হলেও ওই বছরেই সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমএ বারী ৪২ হাজার ৯৯৪ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রুবেল পান ৩৬ হাজার ৮৬ ভোট।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুবেলের বাবা ডা. সেরাজুল হক বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ৩৪ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ৩১ হাজার ৬৮৮ ভোট পান। ১৯৯৪ সালের ২৮ অক্টোবর এমপি ডা. সেরাজুল হক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে তিন মাস পর উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বয়সে তরুণ মাহমুদুল হক রুবেল প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।
জাতীয় সংসদের বিভিন্ন নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে শেষবার দেখা হলেও দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও চাচা ভাতিজা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন।