,
শিরোনাম
হযরত মাওলানা মরহুম এমদাদুর রহমান (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে মীলাদ ও দোআ মাহফিল এবং অসহায় গরীবদের মাঝে কাপড়  বিতরণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে মামলা দায়ের বাতিল হতে পারে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্তে বেরিয়ে এলো যাদের নাম শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন ড. ইউনূস আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে দেয়া বিবৃতি পুরোপুরি মিথ্যা: জয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ উপদেষ্টা পরিষদের ৮ সিদ্ধান্ত প্রথম দিনেই তিন সিদ্ধান্ত নিলেন আসিফ মাহমুদ

ঢাকাকে অচল করে দেয়া সমাবেশ থেকে শুকরানা মাহফিল হেফাজতের

কালের ঢোল:- ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকাকে অচল করে সরকারবিরোধী তাণ্ডবের কর্মসূচি নিলেও কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সমমান দেওয়ায় এবার প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানাতে রাজধানীতে ‘শুকরানা মাহফিল’ এর আয়োজন করেছে হেফাজতে ইসলামের ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সমমান দেওয়ার বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা? এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে এটা বড় ধরনের স্বীকৃতি। কওমি শিক্ষাকে আধুনিক করার এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় ধরনের সফলতা।’ তবে হেফাজতপন্থী কট্টর কওমি আলেম ও শিক্ষার্থীদের এই সমর্থন আসলে কতদিন থাকে এ নিয়েও বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

হেফাজতের সঙ্গে সরকারের শুরুর দিকে একটা মুখোমুখি অবস্থান ছিল, সেখানে কওমি শিক্ষার্থীদের এই স্বীকৃতিকে কেউ ভোটের রাজনীতি হিসেবে দেখবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্লেষকরা বলেন ভোটের রাজনীতির কথা কেউ বললে বলতে পারে, কারণ ভোটের রাজনীতি তো থাকবেই, এটা স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে যে যেভাবে পারে তার পক্ষে ভোটারদের সমর্থন আনার চেষ্টা করবে। এটি তো ইতিবাচক চাওয়া।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে এক সাক্ষাতকারে বলেন: বাংলাদেশে আসলে ভোটের রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে আদর্শ অনেক সময় ভোটের রাজনীতির কাছে অনেক সময় কম গুরুত্বহীন হয়। তিনি বলেন: বাংলাদেশে অনেক কওমি মাদ্রাসা আছে, সেখানে হাজার হাজার ছাত্র আছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের এই সমমানের স্বীকৃতি মূল ধারায় চাকরি-বাকরি পেতে সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে সরকার এটা দিতেই পারে। আমি মনে করি, সরকার রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে তাদেরকে প্রভাবিত করে, পাশাপাশি তাদের এই সুবিধা দিয়ে সরকার সফল হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কত দিন এই সমর্থন থাকে, সেটা সময়ই বলে দেবে।

ভোটের রাজনীতির দিক থেকে একে নেতিবাচক হিসেবে দেখার সুযোগ আছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন: এটাকে আমি নেতিবচাক বলবো না। এটা আসলে কৌশল, সব রাজনৈতিক দলই কৌশল অনুসরণ করে। আদর্শিক দিক থেকে আওয়ামী লীগ প্রথম যে অবস্থানে ছিল সেখান থেকে সরে এসে, আসলে বাংলাদেশের মানুষের ধর্মের প্রতি একটা সহানুভূতি আছে সেটা বুঝিয়েছে। ভোটের রাজনীতির কৌশলগত দিক থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থান থেকে ঠিকই আছে। কিন্তু যারা বাম ঘরানার তারা এটাকে কিভাবে দেখে সেটা বিষয়। আমার মনে হয় তাদেরকে যে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, সেটা তাদের জন্য ভালো হয়েছে। কিন্তু দেখার বিষয় তাদের কত অংশ বা কোন অংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে মোটের ওপর মূলধারার শিক্ষা বা সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ইতিবাচক বিষয় হলো জঙ্গিবাদের বিষয় নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা আছে, এই বিষয়গুলো নিয়ে এই স্বীকৃতির ফলে আধুনিক শিক্ষায় যারা শিক্ষিত তাদের সঙ্গে কওমি শিক্ষার্থীদের মেশার সুযোগ হবে, ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে।

তবে এই আইনের বাস্তবায়ন যেন সঠিকভাবে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, তা না হলে তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তিনি।

সম্প্রতি সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের স্বীকৃতি দেয়। এরপর ২৭ অক্টোবর বেফাক কার্যালয়ে শুকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা ঘোষণা দেন হাইয়াতুল উলিয়ার নেতারা।

সেই ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের কওমিপন্থী ৬টি বোর্ড নিয়ে গঠিত আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশের (হাইয়াতুল উলিয়া) শুকরিয়া মাহফিল হবে আগামীকাল রোববার।

মাহফিলে বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৫ লাখ কওমি আলেম ও শিক্ষার্থীর সমাগম হবে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সমমান দিয়ে ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল, ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দেয় সরকার। এরপর এই স্বীকৃতির আইনি বৈধতা দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ১৩ আগস্ট এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ১০ সেপ্টেম্বর তা সংসদে তোলা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

তখন বিরোধী দলের সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন, কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তরকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর কমিটি তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সময়-সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। মূলত হেফাজতে ইসলাম যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবেই আইনটি হয়েছে।

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৪:৪৪
  • দুপুর ১১:৪৮
  • বিকাল ৩:৫৫
  • সন্ধ্যা ৫:৩৬
  • রাত ৬:৫০
  • ভোর ৫:৫৬