,
শিরোনাম
জগন্নাথপুরে জাতীয় ইমাম সম্মেলন সম্পন্ন হযরত মাওলানা মরহুম এমদাদুর রহমান (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে মীলাদ ও দোআ মাহফিল এবং অসহায় গরীবদের মাঝে কাপড়  বিতরণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে মামলা দায়ের বাতিল হতে পারে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্তে বেরিয়ে এলো যাদের নাম শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন ড. ইউনূস আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে দেয়া বিবৃতি পুরোপুরি মিথ্যা: জয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ উপদেষ্টা পরিষদের ৮ সিদ্ধান্ত

সিলেটের হারানো ছন্দ ফেরাবেন ‘মেন্টর’ ওয়াকার!

দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগে সব হিসেবে নিকেশ আর সমীকরণেই ঢাকা, কুমিল্লা আর রংপুর ছিল এগিয়ে। সবাই এই তিন দলকেই ফেবারিট ভেবেছিলেন। কিন্তু ব্যাট ও বলের লড়াই শুরুর পর মনে হচ্ছিলো, সব হিসেব পাল্টে দেবে সিলেট সিক্সার্স।

একদম শুরুতে হট ফেবারিট ও সর্বাধিক তারকায় ঠাসা চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা। পরের খেলায় আরেক ফেবারিট কুমিল্লাকে হারিয়ে দেয়া। আর তিন নম্বর ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষেও অনায়াসে জেতা।

সিলেট পর্বে প্রথম তিন ম্যাচ জিতে তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিল নাসিরের দল। কিন্তু সিলেটে চার নম্বর ও শেষ খেলায় ছন্দ পতন। খুলনার কাছে ৬ উইকেটের হার। তারপর টানা আরও তিন ম্যাচ হেরে বসা।

শুরুতে উপুল থারাঙ্গা আর আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট কথা বলছিলো। দুই ওপেনারের ব্যাটে ছিল রানের নহর। থারাঙ্গা পর পর তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। তারপর চার নম্বর খেলায় খুলনার বিপক্ষে ২৬ রানে আউট হবার পর কোথায় যেন হারিয়ে গেছেন এ লঙ্কান ওপেনার। সঙ্গী ফ্লেচারের অবস্থাও খারাপ।

যে আবুল হাসান রাজু , লিয়াম প্লাংকেটরা সিলেটে দুর্দান্ত বোলিং করে প্রতিপক্ষ ব্যাটিংয়ের লাগাম টেনে ধরেছিলেন, তারা ঢাকায় এসে ছন্নছাড়া। অধিনায়ক নাসির শুরুতে বল হাতে ব্রেক থ্রু আনার পাশাপাশি মাপা ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সমীহ আদায় করে নিচ্ছিলেন। তার অবস্থাও বিশেষ ভালো না। সব মিলে সিলেট সিক্সার্স যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে।

মাঠে নাসির-সাব্বির, আবুল হাসান, নুরুল হাসান সোহানদের কোচ জাফরুল এহসান । কিন্তু পিছনে জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আর ফারুক আহমেদ। ক্রিকেট বোধ-বুদ্ধি, লক্ষ্য ও পরিকল্পনা আঁটায় যাদের সুনাম গোটা দেশে।

গাজী আশরাফ লিপু আর ফারুক আহমেদের কষা ছঁক যে কোন দলের মাঠের পারফরম্যান্সকে উজ্জ্বল করার বড় দাওয়াই বা রসদ। সেই দুজন তীক্ষ্ণ ক্রিকেট বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব থাকার পরও সিলেট যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। তাই দলকে চাঙ্গা করার জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছে পাকিস্তান তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্টবোলার ওয়াকার ইউনুসকে।

অবশ্য এবার সিলেট সিক্সার্সের সাথে শুরু থেকে গাঁট বেঁধে আছেন ওয়াকার। সিলেটের হয়ে একটি একদিনের পেসার হান্ট কর্মসূচী ও অন্যান্য কার্যক্রমে যোগ দিতে বিপিএল মাঠে গড়ানোর কদিন আগে ঘুরে গেছেন ওয়াকার। কিন্তু এবার তাকে আনা হয়েছে দলের মেন্টর হিসেবে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, তার খেলোয়াড়ী জীবনের অভিজ্ঞতা অনেক সমৃদ্ধ। আর পাকিস্তান জাতীয় দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাও আছে। সব মিলে এই ভালো থেকে খারাপ হয়ে পড়া পরিস্থিতিতে কিভাবে আবার উঠে দাঁড়ানো যায়, সে চিন্তায়ই ওয়াকারের শরণ সিলেটের।

কোচ আছেন, আছেন লিপু-ফারুকের মত দু দু’জন টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজারও। তারপর একজন ভীনদেশী মেন্টর যার সাথে এই দলের কোন সংযোগ ছিল না, তিনি এসে কি করবেন? এ প্রশ্নও কিন্তু উঠছে।

আজ মিরপুরের শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়ানো ওয়াকারকেও প্রশ্ন করা হলো, একজন মেন্টর কীভাবে সাহায্য করতে পারে ? ওয়াকারের ধারণা, মেন্টর এবং কোচিং অনেকটাই এক। তার সাথে আছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। তাকেও বেশ অভিজ্ঞ ক্রিকেট বোদ্ধা মানছেন ওয়াকার।

তাইতো পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের মুখে এমন কথা, ‘আমরা বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ মানুষ পেয়েছি। ফারুক ভাই আছেন । ওনারা খুবই অভিজ্ঞ। আমরা একসাথে বসে আমাদের ভাবনাগুলো একীভূত করে তা অনুশীলন ও ম্যাচে প্রয়োগের চেষ্টা করব।’

যদিও ওয়াকার মনে করছেন, তিনি এসেছেন মূলত তরুণদের নিয়ে কাজ করতে, তাদের চাঙ্গা করতে। এ সম্পর্কে তার বক্তব্য, ‘আমি আসলে তরুণদের সাহায্য করতেই এখানে এসেছি। আমার কাজটি প্রতিদিনের নয়। অনুশীলনে। উঠতি তরুণ যাদের সহযোগিতার প্রয়োজন, পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টকেও। আপনাকে ভুলে গেলে চলে চলবে না এটা সিলেটের প্রথম। ওদের পর্যাপ্ত সহযোগিতার প্রয়োজন। যদি আমি কোন কাজে আসি সেটা দুই পক্ষের জন্যই ভালো।’

ওয়াকার ইউনুস ফাস্টবোলার হলেও পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। কোচ হিসেবে তার ট্র্যাক রেকর্ড মন্দ নয়। তারপরও সবার জিজ্ঞাসা, ওয়াকার কাদের নিয়ে কাজ করছেন? কি শেখাচ্ছেন ?

ওয়াকারের মুখ থেকেই শোনা যাক এ কৌতুহলি প্রশ্নের জবাব, ‘আমি ফাস্ট বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করার চেষ্ট করে যাচ্ছি। এর আগেও আমি এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। কখন কী করতে হবে, সেটা আমি ভালো করেই জানি। পাশাপাশি এও জানি বিপিএলের মত লিগগুলোতে আমার এমন এফোর্ট কতটা ফলপ্রসু হবে।’

নিজ দল সিলেট প্রসঙ্গে ওয়াকারের মূল্যায়ন , ‘শুরু ভালো হয়েছিল। কিন্তু ইনজুরি বাধ সেধেছে। ইনজুরির সমস্যাই দলকে পিছিয়ে দিয়েছে। তবে লাইন আপ মন্দ না। বেশ ক’জন মেধাবি ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন দলে।’

আগামীকাল রংপুরের সাথে খেলা থেকেই সিলেট সিক্সার্সের এ্যাপোচ ও পারফরমেন্সে পরিবর্তন আনার আশায় ওয়াকার। তাইতো মুখে এমন কথা , ‘আমরা কালকেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছি। টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতেই আমরা এখানে। প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য নতুন। আশা করছি সোমবারের ম্যাচে সিলেট আরও ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হবে।’

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৫:০২
  • দুপুর ১১:৪৭
  • বিকাল ৩:৩৬
  • সন্ধ্যা ৫:১৫
  • রাত ৬:৩১
  • ভোর ৬:১৬