দৃক নিউজ২৪, অনলাইন ডেস্ক:- বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১৩তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই দ্যুতি ছড়াচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যেমন মাঠে দিচ্ছেন দারুণ নেতৃত্ব তেমনি ব্যাট হাতে খেলছেন দায়িত্বশীল ইনিংস। গতকাল সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদের মুখে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে সেখান থেকে শান্ত সাবেক অধিনায়ক মুমিনুলকে নিয়ে খুব ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
কিন্তু দুজনের ৯০ রানের জুটি ভাঙে রান আউটে। মিড অফে বল ফেলে রান নিতে দৌড় শুরু করেন মুমিনুল, কিন্তু তখনো বলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন শান্ত। মুমিনুল মাঝপথ থেকে ফেরার আগেই স্টাম্প ভেঙে যায়। তিনি সাজঘরে ফিরলেও শান্ত ঠিকই মাঠে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। গোটা দিন ব্যাটিং করেছেন। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিও। এতে তৃতীয় দিন স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণেই শেষ হয়।
পরে দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে একগাদা প্রশংসায় শান্তকে ভাসিয়েছেন মুমিনুল হক। তৃতীয় দিনে শান্তর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে টাইগারদের সাবেক এই টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘শান্ত গত দুই-তিন বছর ধরে খুবই ভালো ব্যাটিং করছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে উচিত এমন ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাওয়া যা ওর মধ্যে আছে। সব থেকে বড় কথা ও খেলা খুব ভালো বোঝে। নিজের খেলাটা সম্পর্কেও খুব ভালো জানে। মাথাটা পরিষ্কার থাকে। হোক টেস্ট, হোক ওয়ানডে; প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা খুব ভালো বোঝে। সব মিলিয়ে বলতে গেলে ওর এটা দারুণ একটা ইনিংস ছিল। ওরা যে চাপ সৃষ্টি করেছে, তার মধ্যে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’
মুমিনুল গতকাল ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। এর আগে দ্বিতীয় দিনও পেয়েছেন গ্লেন ফিলিপসের উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার ৪ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। নিজের বোলিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘হয়ে গেছে। এরকম কিছু না। ওরকম ভাবনা ছিল না। অধিনায়ক চেয়েছে ভিন্ন কিছু করতে, যেটা আমার সময় আমি করতাম। তাই করেছে। ও নিজে থেকে করেছে (বোলিংয়ে আনা)।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের এই দলে সিনিয়র অনেক ক্রিকেটার নেই। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২৪তম টেস্ট খেলতে নামা শান্ত। তারপরও দুজন আছেন, যারা তার চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলেছেন। মুশফিকুর রহিমের এটি ৮৭তম টেস্ট, বাংলাদেশের পক্ষেই যা সবচেয়ে বেশি। মুমিনুল খেলছেন ৫৮তম টেস্ট। আর এই দুজনই ভিন্ন ভিন্ন সময় সাদা পোশাকে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তরুণ অধিনায়ক শান্তকে সহায়তা করছেন।
মুমিনুল যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন কি সিনিয়রদের কাছ থেকে এমন সহযোগিতা পেয়েছেন? এমন জবাবে একটু রহস্যময় উত্তর দিয়ে বলেন, ‘আমার সময় এটা মিসিং ছিল না। (তাছাড়া) আমার সময় সিনিয়ররা সেভাবে ছিলই না।’ এর আগে মাঠে শান্ত সহযোগিতায় তিনি আর মুশফিক যা করেছেন, সিনিয়র হিসেবে এটি তাদের দায়িত্ব বলেই মনে করেন মুমিনুল। বলেন, ‘আপনি সিনিয়র হলে নিজে থেকে এগিয়ে আসা উচিত। না এলে কাজের প্রতি অসম্মান করা হবে। অধিনায়কের নেওয়া না-নেওয়া সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। অনেক সময় অনেক কিছু মিসিং হয়, হ্যাং হয়ে যায়। তাই এটা সিনিয়রদের দায়িত্ব।’
More News Of This Category