নিজস্ব প্রতিবেদক- ছাতকে একটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে দুটি হাওরে পানি প্রবেশ করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ শত একর জমির বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও কৃষকরা হাওরের ফসল রক্ষা করতে পারেননি। জমিতে অর্ধেক পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা।
আজ ২১ শে এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের ছাতক ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী চাতলী হাওরের পুটিখালের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে দারাখাই নদীর পানি বিগত ২০ শে এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যালগ্নে হাওরে প্রবেশ করায় গত ২২ ঘন্টায় এই হাওরের ৫ শত একর জমির বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার পাশা-পাশি হাটার হাওরের ২শত একর জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে । যে হারে পানি প্রবেশ করছে এতে মনে হয় আজ ২১ শে এপ্রিল দিবাগত রাতের মধ্যে হাটার হাওরের আরো প্রায় ৩ শত একর জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে যেতে পারে। পানিতে সাতার কেটে কৃষকরা নৌকা যোগে ধান কাটার প্রানপ্রন চেষ্টা করছেন।
শক্তিয়ারগাঁও গ্রাম নিবাসী কৃষক আমরু মিয়া, রাশিকুল মিয়া, কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী মোঃ হুমায়ূন কবির, ভাতগাঁও নিবাসী জমসেদ মিয়া ও শ্রীপতিপুর গ্রাম নিবাসী শানুর মিয়া ও হায়দরপুর নিবাসী সাজন মিয়া সহ একাধিক কৃষক বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দারাখাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চাতল হাওরের পুটির খাল বেড়িবাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করায় হাটার হাওর ও চাতল হাওরের ১ হাজার একর জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানি সাতরে আধপাকা ধান নৌকা যোগে কাটা হচ্ছে । যে হারে পানি প্রবেশ করছে আজ রাত পোহালে আর ধান কাটা সম্ভব হবেনা। কিভাবে পরিবারের মূখে আহার যোগাবো ভেবে পাচ্ছি না। ধারদেনা করে জমি করেছিলাম। জীবনটা এখন হতাশাগ্রস্ত।
ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, অকাল বন্যার কবল থেকে বোরো ফসল রক্ষায় কৃষকরা দিনরাত বেড়িবাঁধ মেরামতরত থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাটার হাওর ও চাতলী হাওরের প্রায় তিন হাজার একর জমির কাঁচাপাকা ধান নিমিষেই তলিয়ে গেছে। হাওরপাড়ের মানুষের সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। সর্বহারা কৃষকদের সরকারি সহায়তা প্রদান এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বেড়িবাঁধ দিয়ে হাওর রক্ষা করা যাবেনা। হাওর রক্ষা করতে হলে নদী খনন অতীব জরুরী।
More News Of This Category