হুমায়ূন কবীর ফরীদি, সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক:- সুনামগঞ্জে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী সৎ নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ সুজাত আহমেদ চৌধুরীর ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রাম নিবাসী প্রয়াত মামদ চৌধুরী ও আলতাজান চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আস্তাভাজন সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগ এর প্রতিষ্টাতা সভাপতি, দিরাই সরকারি কলেজ এর প্রতিষ্টাতা প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা সুনামগঞ্জে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী প্রয়াত সুজাত আহমেদ চৌধুরীর ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৮ শে মার্চ। এই দিনটি উপলক্ষে পরিবারবর্গের উদ্যোগে তাড়ল গ্রামের নিজ বাড়ীতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে এতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ৭ ই জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সুজাত আহমেদ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মামদ চৌধুরী ছিলেন একজন সমাজসেবী এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তার মায়ের নাম আলতাজান চৌধুরী। নিজ গ্রাম তাড়ল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুজাত আহমেদ চৌধুরীর শিক্ষাজীবন শুরু। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন । ১৯৬৭ সালে সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পতাকা কাঁধে তুলে নেন। ঝাঁপিয়ে পড়েন ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে। তখনকার সময়ে ছাত্রলীগ করা ছিল খুবই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। ১৯৬৯ সালের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর নেতা হিসেবে সুজাত আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কাজ করেন আওয়ামী লীগের পক্ষে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ সুনামগঞ্জে তিনি প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলার পতাকা। মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন এবং স্বাধীনতা উত্তর স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্বাধীনতার পর সুজাত আহমেদ চৌধুরী জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
সুজাত আহমেদ চৌধুরী সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। সামাজিক ক্ষেত্রেও তার রয়েছে যথেষ্ট অবদান। প্রতিষ্ঠা করেছেন দিরাই কলেজ ও তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয়। জীবনে কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। তার লেখা ১১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘রাজনীতির তিন যুগ’ ‘বিশ্ব এবং বিবিধ প্রসঙ্গ’ ‘শতাব্দীর প্রথম যুদ্ধ’ এবং ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’।