নিজস্ব প্রতিবেদক:- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টিকা কার্ড ব্যতীত কাউকে পাওয়া গেলে আইনের আওতায় শাস্তি স্বরূপ জেল জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর টিকা নিতে আগ্রহ বেড়েছে জনসাধারনের।
উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে ১ কোটি মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে যারা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছাকৃতভাবে টিকা নিতে পারেননি তারা আগামী শনিবারের পর আর ১ম ডোজের টিকা চাইলেও নিতে পারবেন না।
তাছাড়া জগন্নাথপুর উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক সিদ্ধান্তে জানানো হয়, আগামী শনিবারের পর টিকা কার্ড ছাড়া সরকারী/বেসরকারী কার্যালয়ে কাউকে কোন প্রকার সেবা দেওয়া হবে না।
এছাড়া রাস্তা-ঘাটে, মার্কেট, হাট-বাজারে, অফিস-আদালত, যানবাহন, দোকানে সর্বত্র উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অভিযান চালানো হবে। অভিযানে ১২ বছরের উর্ধ্বে টিকা কার্ড ব্যতীত কাউকে পাওয়া গেলে তাকে আবশ্যিকভাবে আইনের আওতায় শাস্তি স্বরূপ জেল জরিমানা করা হবে।
এদিকে, ১২ বছরের উপরের সবাইকে টিকা আওতায় নিয়ে আসতে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত উপজেলাজুড়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে পৃথক পৃথক টিকাদান কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৭ বছরের সবাইকে ফাইজারের এবং ১৮ বছরের উপরে সকলকে সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হবে।
টিকাদান কার্যক্রমে টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। সেই সাথে টিকাদান কেন্দ্রেগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর বলেন, ২৬ তারিখের মধ্যে যেকোন দিন যে কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে এসে টিকা নিতে পারবেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে সকল শ্রেনি-পেশার জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। মাইকিং এর মাধ্যমে কেন্দ্র সম্পর্কে এবং সময়সূচী জানানো হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর কাউকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। যারা টিকার আওতায় আসবে না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপজেলার সর্বস্থরের লোকদের টিকা নিতে অনুরোধ জানান।