দৃক নিউজ২৪, স্পোর্টস ডেস্ক:- চীনা পণ্য বয়টকের ডাক, চরম জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ভারতে। যার জের ধরে আইপিএল থেকে চলতি বছরের জন্য সরে দাঁড়িয়েছে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভিভো। যার ফলে আইপিএলের এবারের আসরের জন্য নতুন স্পন্সর খুঁজতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে।
এর মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল আইপিএলের অন্য চীনা স্পনসররা। নানা সূত্রে ভারতীয় মিডিয়ায় খবর বের হচ্ছে, এবারের আইপিএল থেকে অনএয়ার বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ থেকে সরে যেতে পারে বাকি চীনা কোম্পানিগুলোও।
লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা, যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান। সম্প্রতি সেই উত্তেজনা আবার বেড়ে গেছে। দু’দেশের এই রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাব পড়েছে খেলার দুনিয়ায়ও। ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে। একই সময় দাবি উঠেছে আইপিএল থেকেও চীনা কোম্পানিগুলোকে সরিয়ে দিতে হবে।
ভারতজুড়ে এই মনোভাব তুমুল আকার ধারণ করা নিজেরাই এই বছরের জন্য আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভিভো। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বছরে ৪৪০ কোটি রুপির চুক্তি ভিভোর। তারা সরে দাঁড়ানোয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল আয়োজন নিয়ে এখন দারুণ আর্থিক সমস্যায় বিসিসিআই। কারণ, এত দ্রুত বড় অঙ্কের টাইটেল স্পনসর খুঁজে পাওয়া সহজ নয়।
পরিস্থিতি যখন এই, তখন বোর্ডের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত অন্য চীনা কোম্পানিগুলো। যারা টুর্নামেন্ট চলাকালীন অনএয়ার বিজ্ঞাপন দেয়, তারা সরে গেলে সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসও চাপে পড়বে।
ভিভো সরে গেলেও এখনও অপপো, রিয়েল মি, সাওমি, হুয়াওয়ে, লেনোভোর মতো চীনা ব্র্যান্ড জড়িয়ে আছে আইপিএলের সঙ্গে। চীনা ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতে যে আবেগ রয়েছে, সেটাই ভাবাচ্ছে এই ব্র্যান্ডগুলোকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনা ব্র্যান্ডগুলো যে আইপিএল ২০২০ আসরে বিজ্ঞাপন দিতে চাইছে না, তা জানা গেছে ইনসাইড স্পোর্ট-এ প্রকাশিত এক বিপোর্টে। তাতে বলা হয়েছে, ভিভো এবং অপ্পো মিলে গত মৌসুমের আইপিএলের সময় ২৪০ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন খাতে খরচ করেছিল; কিন্তু, এবার তারা সম্পূর্ণ দূরে সরে থাকছে প্রতিযোগিতা থেকে।
পেটিএম, সুইগি, জোমাটো, ড্রিম১১ প্রভূতি সংস্থারও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারাও আইপিএল নিয়ে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি নতুন করে ভাবতে পারে। গত মৌসুমের আইপিএল থেকে স্টার স্পোর্টসের আয় হয়েছিল ২১০০ কোটি রুপি। এবার তাদের আয়ের অঙ্ক কমে ১৫০০-১৭০০ কোটি রুপি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবারের আইপিএল আবার হতে চলেছে দিওয়ালি উৎসবের সময়। এই উৎসবের মৌসুমের কথা মাথায় রেখেই দ্রুততার সঙ্গে নতুন টাইটেল স্পনসর খুঁজছে বিসিসিআই।
More News Of This Category