মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক:- ১৪ ই অক্টোবর আসন্ন ৩ নং মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই নির্বাচনে মোট ছয় জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত চশমা, আনারস ও নৌকা প্রতীক এর প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি বেলা পেরিয়ে রাত পোহালেই ১৪ ই অক্টোবর সোমবার দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৩নং মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী -সমর্থক ও ভোটার এক কথায় সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে আনন্দ উল্লাসের পাশা-পাশি ভোটের হিসাব- নিকাশ চলছে।এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল কাদির, আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ মনোনীত চশমা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজ মোঃ শওকত আলী, স্বতন্ত্র হিসাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মাহবুবুল হক শেরীন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্বাছ মিয়া,স্বতন্ত্র টেলিফোন প্রতীকে প্রার্থী মোঃ সাহাব আলী ও স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান নির্বাচন করছেন। তমধ্যে নৌকা, চশমা ও আনারস প্রতীক এর প্রার্থীদের মাঝে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মীরপুর ইউনিয়ন এর সচেতন মহল মনে করছেন।
মীরপুর ইউনিয়ন এর সচেতন মহল ও সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের মতামত ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর তাদের কাংখিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই নির্বাচনে ছয় জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত নৌকা, চশমা ও আনারস প্রতীক এর প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে আওয়ামী ঘরানার দুই প্রার্থী থাকায় আঞ্জুমানে আল- ইসলাহ’র প্রার্থী হাফিজ মোঃ শওকত আলী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ হিসাবে তারা আরো বলেন, আওয়ামী ঘরানার ভোট ভাগা-ভাগি হয়ে নৌকা ও আনারস প্রতীকে পড়বে। আর আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ এর প্রার্থী হাফিজ মোঃ শওকত আলী একক প্রার্থী হওয়া দলীয় ভোট পাওয়ার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
তবে ভোটার সহ ইউনিয়নবাসী চান কাঙ্খিত উন্নয়ন। তাঁরা দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন। চেয়ারম্যান যে কেউ নির্বাচিত হন এলাকার রাস্তাঘাটসহ সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে। যে কারণে ইউনিয়নবাসী যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান।
এদিকে মিরপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্য প্রার্থীরাও নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছেন। যদিও ১৪ অক্টোবর নির্বাচনে জনগণের রায়ে চেয়াম্যান পদে ১, নারী ইউপি সদস্য পদে ৩ ও সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ৯ জনসহ মোট ১৩ প্রার্থী গলায় পড়বেন বিজয়ের মালা। তাঁরাই হবেন ৩নং মিরপুর ইউনিয়নের জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাঁদের হাত ধরেই হবে মিরপুরের কাঙ্খিত উন্নয়ন। পূরণ হবে জনগণের চাওয়া-পাওয়া। এখন শুধু অপেক্ষার পালা সেই ভাগ্যবান জনপ্রতিনিধিদের।
জামাল/এস/এস
More News Of This Category