কালের ঢোল:- প্রতিবছর ঈদুল আজহায় হযরত ইব্রাহীম (আ:) এর স্মৃতিচারনায় ও আল্লাহর নির্দেশ মান্য ও ত্যাগের মহিমায় লাখ লাখ পশু কোরবানি করা হয় বাংলাদেশে।
ইসলাম ধর্মের শরিয়তের বিধান অনুসারে এসব কোরবানিকৃত পশুর চামড়ার টাকা এতিম, অসহায় কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য।
এক কথায়, কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা গরিবদের হক। অথচ বিগত কয়েক বছর ধরে পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না হওয়ায় গরিব-দুঃখীরা তাদের প্রাপ্য পাচ্ছে না।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছর যে পরিমাণ পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়, তার ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ আসে ঈদুল আজহায়। এ সময় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি শুরু করে।
শক্তিশালী সিন্ডিকেটের বেড়াজালে কয়েক বছর ধরে ঈদে আগেই কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। গতবছর প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৪৫ টাকা, খাসি ১৮ টাকা ছিল, যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৫ টাকা কম।
তারপরও দেখা যায়, সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে চামড়া বিক্রি করতে পারে না। মফস্বল এলাকাগুলোয় ক্রেতার অভাবে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
এক সময় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটা গরুর চামড়া ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু বর্তমানে দাম এতটাই নিুমুখী হয়েছে যে, তা ৫০/১০০ টাকায়ও বিক্রি করা যায় না।
অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বিক্রেতাদের অনেকেই ৩০ শতাংশ কম মূল্যে পশুর চামড়া বিক্রি করা হলেও এবারে ৫০/৫৫ শতাংশ কম মূল্যে পশুর চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ট্যানারি মালিক ও এ শিল্প খাত সংশ্লিষ্টরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও গরিব, এতিম ও অসহায় মানুষগুলো তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
এ অবস্থার অবসানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি এবং যথার্থ পদক্ষেপ কাম্য, যাতে এতিম, অসহায় ও গরিব মানুষগুলো তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হয়।
More News Of This Category