দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- তিনি রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামান না। ঘাটাঘাটির তো প্রশ্নই আসে না। ইতিহাস-পরিসংখ্যানও তার মনে থাকে না। কিন্তু ইতিহাসে লেখা থাকবে, সেই ইতিহাস-পরিসংখ্যানে যার কোনোই উৎসাহ-আগ্রহ নেই- সেই মাশরাফি বিন মর্তুজা মাইলফলকের ম্যাচেই বেশি ভালো খেলেন। দলের জয়ের রুপকার হন। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও ওঠে তারই হাতে।
ইতিহাস জানাচ্ছে বাংলাদেশের একশতম ওয়ানডেতে ব্যাট ও বলে দারুণ চৌকস নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেটা ছিল ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। যা ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৩ নম্বর ওয়ানডে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস আর ৩৬ রানে দুই উইকেট নিয়ে মাশরাফি হয়েছিলেন বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়ের রূপকার।
সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ক্যারিবীয়দের কম রানে বেঁধে ফেলে ম্যাচ সেরা হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই যে দেশের ও নিজের মাইলফলক স্থাপনের ম্যাচে দুই দুইবার ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্স দেখিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া। কি অনুভূতি মাশরাফির? দেশের শততম ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হবার কথা কি মনে আছে? সেই ম্যাচের পর আজ নিজের ২০০ নম্বর ওয়ানডেতেও ম্যাচ সেরা। এটা কিভাবে দেখছেন?
এটা কি বলবেন? দুর্লভ ঘটনা নাকি অতি কাকতালীয়? বিষয়টা কাকতালীয় মানতে রাজ্যের আপত্তি তার। তাইতো মুখে এমন কথা, ‘আসলে দুনিয়ায় কাকতালীয় বলে কিছু নাই, আমরা বানাই। ঘটনা ঘটে এই আর কি।’
প্রশ্ন উঠলো মাইলস্টোনতো আপনার কাছে কম গুরুত্বের। কিন্তু মাইল ফলকের ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার পরও কি তার গুরুত্ব কম থাকে আদৌ? মাশরাফি মানছেন, ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগে। সেটা খুব স্বাভাবিক। বিশেষ করে ম্যাচটা যেহেতু জিততে পেরেছি। তবে মাইলস্টোন আসলে ওইরকম কিছু মনে হচ্ছে না।’