বিএনপিসহ বিরোধী জোটের নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ বছর আগের দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে দেড়শ’র বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিক দলগুলোর নেতারা।
এবারও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হলেও কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।
এতেই আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিকরা সমস্যায় পড়ে গেছে বলে মনে করছেন কামাল হোসেন।
বুধবার বিকালে পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা এটা অনুভব করছি, সরকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। তাদের প্রথম তো ধারণা ছিল যে, ২০১৪ সালের মতো যেনতেনভাবে একটা নির্বাচন করে কাটিয়ে দিল। এবারও আমরা অপ্রস্তত, আমরা কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহন করব না তারা আরো পাঁচবছর এভাবে পেয়ে যাবে।
“যখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, না আমরা নির্বাচনে সবাই মিলে আসছি। তখন থেকে দেখছি যে, তাদের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।”
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবাদমাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল বলেন, “আপনারা জনগণের যে ভোটাধিকার সেই ভোটাধিকার পাহারা দেবেন। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটা আপনারা পাহারা দিলে আমরা আশা করি, সরকারের যত রকমের অপচেষ্টা হয়, সেটাকে মোকাবিলা করে মানুষের যেটা প্রাপ্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন সেটা আদায় করা যাবে।
“সেটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে যে, দেশের মানুষ আবার তার অধিকার ও ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। এই কারণে আমি আপনাদের কাছে এই আবেদনটা রাখছি।”
বর্তমান বাংলাদেশ জনগণের ‘নিয়ন্ত্রণে নেই’ মন্তব্য করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “নাগরিকরা, যেভাবে তাদেরকে সরিয়ে রাখা হয়েছে, এই যে সংসদ বলা হয় এটা কোনোভাবে সংসদ নয়। এটা অনির্বাচিত ঘোষিত সংসদ