নিজস্ব প্রতিবেদক #
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান শিপলু হত্যার মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল এবং তাহিরপুর থানার তৎকালীন ওসি সহ ৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (২৭ আগষ্ট) এই হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের ১৭তম কার্যদিবসে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাস আসামিদের কারাগারে পাঠোনোর আদেশ দেন। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, বিএনপি নেতা জুনাব আলী, তাহিরপুর থানার তৎকালীন ওসি শরিফ উদ্দিন, এসআই রফিক, যুবদল নেতা শাহীন মিয়া ও শাহাজাহান মিয়া।
২০০২ সালের ২০ মার্চ রাতে তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামে (মামার বাড়ীতে) তাহিরপুর জয়নাল আবেদীন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান শিপলু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। রোববার মামলার শুনানিতে বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আপ্তাব উদ্দিন ও জহুর আলী। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরীও ফারুক আহমদ।
পিপি অ্যাভোকেট খায়রুল কবির রুমেন জানান, আগামী ৩১ আগস্ট এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। রায় হওয়া পর্যন্ত আসামিরা কারাগারে থাকবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রকাশ, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা মো. বদরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান শিপলু তাহিরপুর উপজেলার তৎকালীন কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে ২০০২ সালে মামা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে থেকেই উপজেলার জয়নাল আবেদীন কলেজে পড়াশুনা করতেন।
২০ মার্চ রাত ৩ টায় তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামার কামরুল, তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে সভাপতি মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, বিএনপি নেতা জুনাব আলী, তৎকালীন তাহিরপুর থানার ওসি শরিফ উদ্দিন, এসআই রফিক, তৎকালীন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা শাহীন মিয়া ও শাজাহান মিয়া ভাটি তাহিরপুরের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ ও ছাত্রদল নেতারা ওয়াহিদুজ্জামান শিপলুকে আটক করেন। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিপলু।
এ ঘটনার ২ দিন পর ২৩ মার্চ শিপলু’র মা আমিরুনন্নেছা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নেয়। ২০০৩ সালে মামলাটি জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। জেলা ও দায়রাজজ ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠায়।
More News Of This Category