মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি# মোবাইল ফোনের সাহায্যে টাকা আদান প্রদানের মাধ্যম ‘বিকাশ’এ ছড়িয়ে পড়েছে নানা প্রতার না। সারা দেশে প্রতিনিয়ত অসংখ্য গ্রাহক নানা প্রতারণার শিকার হলেও প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না সংশ্লিষ্ট কেউ। প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের ‘অজ্ঞতা’র কালিমা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব কৌশলে এড়িয়ে যায় বিকাশ কর্তৃপক্ষ। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন জগন্নাথপুরের এক সাংবাদিক।
জানযায়, বিগত বুধবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক সিলেট বাণী পত্রিকার জগন্নাথপুর প্রতিনিধি হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া এ প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ঐ দিন বেলা ১ টা ৩৩ মিনিটের সময় হঠাৎ সাংবাদিক জিয়ার বিকাশ করা মোবাইল নাম্বারে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন দিয়ে বলেন, তার মোবাইল নাম্বার (০১৮৩১-১৫২৬৭৭) থেকে ভুল বশততার বিকাশ নাম্বার (০১৮৩৯-৪৫৮৪০০) থেকে সাংবাদিক জিয়ার নাম্বারে ৯ হাজার ৮৮০ টাকা চলে গেছে। এ সময় সাংবাদিক জিয়া দেখতে পান তার মোবাইলে ৯৮৮০ টাকার একটি ম্যাসেজ এসেছে। তখন টাকা ফেরত চেয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি কান্নাকাটি করে। কান্না শোনে জিয়া তার মোবাইলের ব্যালেন্স চেক না করেই পাল্টা বিকাশ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির উক্ত বিকাশ নাম্বারে ৯৮৮০ টাকা বিকাশ করেন। পরে জিয়া তার ব্যালেন্স চেক করে দেখতে পান তার মোবাইলে বিকাশ একাউন্টে থাকা প্রায় ২৫ হাজার টাকার মধ্যে উক্ত ৯৮৮০ টাকা কর্তন হয়ে গেছে। পরে সে বিভিন্ন বিকাশের দোকানে গিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ম্যাসেজ যাচাই করলে দোকানিরা জানান, এটি একটি ভুয়া ফরোয়ার্ড নাম্বারের ম্যাসেজ ছিল।
এ সময় প্রতারণারব শিকার হওয়া সাংবাদিক জিয়া উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে আবার ফোনে যোগাযোগ করলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে হুমকি দিয়ে উল্টো সাংবাদিক জিয়ার বিকাশ নাম্বারটি ব্লক করে দেয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিক জিয়া জগন্নাথপুর থানায় জিডি করেছেন।
More News Of This Category