নিজস্ব প্রতিবেদক #
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে পল্লীবিদ্যুৎ এর নতুন সংযোগ গ্রহনকারীরা পল্লীবিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় দালাল কর্তৃক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
প্রকাশ, সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে ছোট-বড় ৪৫ টি গ্রাম রয়েছে। প্রবাহমান কুশিয়ারা নদী এ ইউনিয়নকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রাখায় ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশিত উন্নয়ন বিলম্বিত হচ্ছে। এ ইউনিয়নের জনসাধারণের বড় সপ্ন ছিল বিদ্যুতের আলোতে বসতবাড়ি আলোকিত করা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার উদ্যোগের ফলে পাইলগাঁও ইউনিয়নেরকুশিয়ারা নদীর দক্ষিন পাড়ে বসবাসরত প্রায় ১৫ টি গ্রামের জনসাধারণের বিদ্যুতের আলো দেখার দীর্ঘ দিনের লালিত সপ্ন পর্যায়ক্রমে বাস্তবতার মুখ দেখতে শুরু করে। সরকার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রদান করলেও নতুন পল্লীবিদ্যুতের সংযোগে গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই হাজার থেকে পাচঁ হাজার টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে স্থানীয় একাধীক সুত্র জানা গেছে। টাকা না দিলে বিদ্যুৎ দেয়া হবেনা এমন ভয় দেখিয়ে গ্রামের সরলমনা দারিদ্র গ্রাহকদের কাছ থেকেচাঁদা আদায় করে বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ঠ একটি চক্র। চাঁদাবাজির বিষয়ে ইউনিয়নের জালালপুর গ্রাম নিবাসী সাবাজ মিয়া ক্ষোভের সাথে জানান,নগদ অর্থ দিয়েও মিটার পাচ্ছিনা। আমরা গরীব মানুষ। দাবী অনুযায়ী দুই ধাপে দাবীকৃত পাঁচ হাজার টাকা বিদ্যুৎ এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দালাল চক্রেরের সদস্য স্থানীয় ইলেকট্রিকশয়া অলিউর রহমানের কাছে দেই। তারপরও আমাদের পরিবারে মিটার দিতে টালবাহানা করছে।একই অভিযোগ খাঁনপুর গ্রামের দারিদ্র সোনুক উদ্দিন বলেন, অলিউর রহমান আমার কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিদ্যুতের খরচ বাবদ চাঁদা নিয়ে মিটার দিতে নানা অজুহাত দেখায় এবং মিটার পাইতে আরো তিন হাজার টাকা লাগবে বলে জানায়। সোনুক উদ্দিন এপ্রতিনিধিকে ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, আমি সুদে টাকা ধার এনে অলিউর কে দিয়েছি। চাঁদাবাজি টেকাতে বিদ্যুতের গ্রাহকদের সচেতনতার জন্যে সম্প্রতি হবিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে কাউকে বিদ্যুতের ব্যাপারে কোন টাকা পয়সা না দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে এলাকায় লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে। গ্রামের সরলমনা এসব গ্রাহকদেরকে বিদ্যুতের বিভিন্ন খাতে ব্যায় দেখিয়ে উল্লেখিত ইলেকট্রিশিয়ান কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। এ ছাড়াও ড্রপলাইনও মিটার লাগাতে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে একশত টাকা মিটার প্রতি চাঁদা হিসেবে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ না পাওয়ার ভয় দেখিয়ে গরীব অসহায় মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। ভুক্তভোগী এলাকার গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই এসব চাঁদা দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক প্রতারক চাঁদাবাজ অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের জন্য বড় অংকের টাকা চাঁদা আদায় করারও অভিযোগ কর
More News Of This Category