মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি# জগন্নাথপুরে প্রি-পেইড মিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
বিস্বস্থ সুত্রে জানাযায়, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ভবের বাজারস্থ আলহাজ্ব শাহ আব্দুল আজিজ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে এ জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নুরুল করিমের সভাপতিত্বে ও পি.জি.পি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের বার্তা সম্পাদক জাকারিয়া আহমদের পরিচালনায় প্রি-পেইড মিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জগন্নাথপুর শাখার সভাপতি ও জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লাল, কলকলিয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক জহিরুল ইসলাম জহির, প্রভাষক মাহমুদ সুলতান, প্রভাষক আবু তাহের, পি.জি.পি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, ছাত্রনেতা ফুজায়েল আহমদ সাজু।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, প্রি-পেইড মিটারে অতিরিক্ত বিল আদায় করা হচ্ছে বলে ব্যবহারকারি অনেক ভুক্তভোগি জানিয়েছেন। অনেককে জোরপুর্বক মিটার প্রতিস্থাপনে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনে আছে; যদি কোন ক্রেতা তার চাহিদার কথা প্রকাশ করে বলে, আমি ওই পণ্যটা ক্রয় করতে চাই তাহলে তার কাছে ওই পণ্য বিক্রয় করা যাবে। কিন্তু কাউকে জোরপুর্বক কোন পণ্য দেয়া যাবে না। অথচ জগন্নাথপুরে ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘন করে বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে প্রি-পেইড মিটার ক্রয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে; যা অত্যন্ত দুঃখজনক, এটা মেনে নেয়া সম্ভব না। প্রি-পেইড মিটার প্রতিস্থাপনে অনেককে হুমকিও প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক কৃষক,আমাদের দেশ কৃষি নির্ভশীল। অনেকেই আছেন যারা মোবাইলে একটি নম্বর তুলতে একাধিক ভুল করে থাকেন। কিন্তু প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ কার্ডে ২০-৩০ সংখ্যার একটি ডিজিট নম্বর দেয়া থাকে যেগুলো সবাই বুঝেন না। তাদের জন্য তো প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করা অতিরিক্ত ঝামেলার সৃষ্টি করবে। অনেক হত দরিদ্র পরিবার আছে যারা ২-৩ মাসের বিল একসাথে পরিশোধ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রি-পেইড মিটারও অনেক চাপের কারন হয়ে দাঁড়াবে। যখন তারা মিটার রিচার্জ করবেন তখন তাদের বাড়িতে আলো দেখা যাবে, যখন করতে পারবেন না তখন অন্ধকারে থাকবেন।
বিদ্যুত সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, একটু বৃষ্টি-বাদল কিংবা আবহাওয়া খারাপ হলেই বিদ্যুৎ থাকেনা। অনেক এলাকায় সন্ধ্যার পর দেখা যায় না বিদ্যুতের আলো, বেশিভাগ লাইন পুরাতন, ঝুকির মুখে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এমন সমস্যার সমাধান না করে আবার মিটার নিয়ে মাথা ব্যতা এটা কোন ধরনের আধুনিকতা।
জগন্নাথপুরের সচেতন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা প্রি-পেইড মিটার প্রতিস্থাপনে আগ্রহী নন তারা বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান চান। তাই অচিরেই প্রি-পেইড মিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে এবং বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সচেতন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কঠোর আন্দোলন কর্মসুচি পালন করবেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম, বিপ্লব দেব নাথ, সুজাত আলী, আবু বকর, জাবির আহমদ চৌধুরী, মানবাধিকার ইউনিটি জগন্নাথপুর শাখার সহ অর্থ সম্পাদক শফিক মিয়া, ইলেকট্রিশিয়ান সৈয়দ জীবান আহমদ, ছাত্রনেতা আকমল হোসেন, কাসেম আহমদ, , জাকির আহমদ, রেজুয়ান আহমদ, শাইদুল ইসলাম, সুজন সেন, রাজু সেন, শেলু মিয়া, ইউসুফ আলী লখন, রানা মিয়া প্রমুখ।
More News Of This Category