দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক
রান্নায় তিলের তেল বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। নানারকম ভেষজ ও পুষ্টিগত গুণাগুণের কারণে ভোজ্য তেলহিসেবে তিলের তেল অগ্রগন্য। রান্না ছাড়াও শরীরে মাখার জন্য এই তেল আদর্শ।
তিলের তেল চুল পড়া কমায়,
অকালে চুল পাকা রোধ করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। আসুন জেনে নেয়া যাক তিলের তেলের আরও কিছু গুণাগুণ:
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
তিলের তেলে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকায় তিলের তেল রক্তচাপ কমায় এবঙ রক্তরসে শর্করার পরিমাণও কমায় তিলের তেল। ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং জ্বালাপোড়া নিরোধক উপাদান, যার নাম ‘সেসামোল’।
হাড়ের সুস্বাস্থ্য জিংক,
ক্যালসিয়াম এবং কপার আছে তিলের তেলে, ফলে নিয়মিত এই তেল গ্রহণ করলে বা এই তেল দিয়ে রান্না করলে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়ের ক্ষয়রোধের পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিস রোধ করে তিলের তেল। হাড়ের জোড়ে সমস্যাজনীত বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
স্নায়ু সচল করে
শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং ইন্দ্রিয়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে তিলের তেল। তিলের তেল মানুষের আয়ূ বৃদ্ধি করে। শরীরের রং উজ্জ্বল করেতিলের তেল শরীরের রং উজ্জ্বল করে এবং শরীরের ছোট ছোট দোষত্রুটি দূর করে দেয়। মানসিক সুস্বাস্থ্য তিলের তেলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ‘টাইরোসিন’ মানসিক অস্বস্তি ও দুশ্চিন্তা দূরকরে এবং প্রয়োজনীয় এনজাইম ও হরমোন সরবরাহ করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবে মন-মেজাজ ভালো রাখে। মানসিক চাপ দূর করার এটি আদর্শ উপাদান, যার কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
দাঁতের সুস্বাস্থ্য
দাঁতের পরিচর্যার এক বিশেষপদ্ধতি ‘অয়েল পুলিং’-এ বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তিলের তেল। এই পদ্ধতিতে মুখে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে (না খেয়ে) ১০ মিনিটধরে কুলিকুচি করতে হয়। কুলি ফেলার সময় এই তেল মুখের সকল বিষাক্ত উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে বের করে আনবে। মুখগহ্বর ও ক্ষুদ্রান্ত্র পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে করতেও তিলের তেল অত্যন্ত উপাকারী।
সূত্র: বোল্ড স্কাই
More News Of This Category