দৃক নিউজ২৪, ডেস্ক:- গোটা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে নাজেহাল। প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ যাচ্ছে কোভিডের কারণে। তবে মহামারি মানব সভ্যতায় এই প্রথম নয়। এরও আগে বহু মহামারির মোকাবিলা করতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। তারমধ্যেই একটি ভারী অদ্ভূত মহামারি ছিল ‘ডান্স এপিডেমিক’ বা নৃত্য মহামারি। অবিশ্বাস্য হলে সত্যি, হল যে, এই মহামারী রোগে আক্রান্ত মানুষ পাগলের মতো নাচতে শুরু করতেবন। আর নাচতে নাচতেই প্রাণ যেত তাদের।
প্রায় ৫০০ বছর আগে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল ফ্রান্স-এ। রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা ফরাসি শহর স্টারসবুর্গে, নয় নয় করে কয়েক হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। রোগীরা যতক্ষণ না তাদের প্রাণ চলে যেত, ততক্ষণ নেচেই যেতেন।
১৫১৮ সালে এক ফরাসি মহিলা প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হঠাতই মাঝরাস্তায় ফ্রো ট্রফে নামে এক মহিলা নাচতে শুরু করেছিলেন। পথচলতি মানুষ, প্রথমে বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই নিলেও অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন ওই মহিলার নাচের মধ্যে অস্বাভাবিকতা রয়েছে।
১৫১৮ সালে এক ফরাসি মহিলা প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হঠাতই মাঝরাস্তায় ফ্রো ট্রফে নামে এক মহিলা নাচতে শুরু করেছিলেন। পথচলতি মানুষ, প্রথমে বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই নিলেও অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন ওই মহিলার নাচের মধ্যে অস্বাভাবিকতা রয়েছে।
টানা ৬ দিন ধরে চলেছিল সেই নাচ তারপর টানা ৬দিন ধরে নেচেছিলেন ফ্রে। নাচতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছিল তার পা। জুতোর মধ্য দিয়ে উপচে এসেছিল রক্ত। তবুও নাচ তিনি থামাননি। রাতে অবশ্য তিনি ঘুমাতেন। কিন্তু সকাল হলেই ফের নাচতে শুরু করতেন। টানা ৬ দিন ধরে চলেছিল সেই নাচ
তারপর টানা ৬দিন ধরে নেচেছিলেন ফ্রে। নাচতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছিল তার পা। জুতোর মধ্য দিয়ে উপচে এসেছিল রক্ত। তবুও নাচ তিনি থামাননি। রাতে অবশ্য তিনি ঘুমাতেন। কিন্তু সকাল হলেই ফের নাচতে শুরু করতেন”
ক্রমে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা অদ্ভূতভাবে তার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই শহরে একই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকে। পরের একমাসের মধ্য়েই ৪০০-রও বেশি মানুষের নাচের রোগ ধরা পড়েছিল। বেশিরভাগই ছিল অল্পবয়সী মহিলা। মহামারির কারণে প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনের মৃত্যু হতে শুরু করে। কারোর ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক, কেউ ক্লান্তিতে কেউ বা ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে মারা গিয়েছিলেন।
ক্রমে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা অদ্ভূতভাবে তার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই শহরে একই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকে। পরের একমাসের মধ্য়েই ৪০০-রও বেশি মানুষের নাচের রোগ ধরা পড়েছিল। বেশিরভাগই ছিল অল্পবয়সী মহিলা। মহামারির কারণে প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনের মৃত্যু হতে শুরু করে। কারোর ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক, কেউ ক্লান্তিতে কেউ বা ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে মারা গিয়েছিলেন।
এই মহামারি রোগের কারণ এখনও অবধি স্পষ্ট নয়। কেন তারা ওই ভাবে নাচতে শুরু করছিলেন তার উত্তর আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানও নিশ্চিতভাবে দিতে পারেনি। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশের অনুমান, সম্ভবত এক ধরণের ছত্রাক থেকে কোনও খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটেছিল। যার থেকে মাদকের মতো প্রভাব তৈরি হয়েছিল। আবার আরেক অংশ মনে করেন, এটা ছিল এক ধরণের গণ হিস্টিরিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় মাস সাইকোজেনিক ডিজিজ। মানসিক চাপ থেকেই এই ধরণের গণ হিস্টিরিয়া তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নিশ্চিত উত্তর কারোর জানা নেই।
এই মহামারি রোগের কারণ এখনও অবধি স্পষ্ট নয়। কেন তারা ওই ভাবে নাচতে শুরু করছিলেন তার উত্তর আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানও নিশ্চিতভাবে দিতে পারেনি। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশের অনুমান, সম্ভবত এক ধরণের ছত্রাক থেকে কোনও খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটেছিল। যার থেকে মাদকের মতো প্রভাব তৈরি হয়েছিল। আবার আরেক অংশ মনে করেন, এটা ছিল এক ধরণের গণ হিস্টিরিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় মাস সাইকোজেনিক ডিজিজ। মানসিক চাপ থেকেই এই ধরণের গণ হিস্টিরিয়া তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নিশ্চিত উত্তর কারোর জানা নেই।
More News Of This Category