,
শিরোনাম
জগন্নাথপুরে জাতীয় ইমাম সম্মেলন সম্পন্ন হযরত মাওলানা মরহুম এমদাদুর রহমান (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে মীলাদ ও দোআ মাহফিল এবং অসহায় গরীবদের মাঝে কাপড়  বিতরণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে মামলা দায়ের বাতিল হতে পারে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্তে বেরিয়ে এলো যাদের নাম শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন ড. ইউনূস আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে দেয়া বিবৃতি পুরোপুরি মিথ্যা: জয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ উপদেষ্টা পরিষদের ৮ সিদ্ধান্ত

দুঃসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মিত্ররা, তবুও সতর্ক বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:- কথায় বলে ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’। যেকোনো রাজনৈতিক দলের দুঃসময়ে প্রচলিত এই কথা যেন আরও কঠিন বাস্তবতা হয়ে দেখা দেয়। কাল যারা ছিলেন সহকর্মী-মিত্র, আজ তারা অপর পক্ষে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপি সমমনা দলগুলোর অনেক নেতা বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে যাবেন- রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন গুঞ্জন ছিল বেশ জোরেশোরেই। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে বন্ধন অটুট রেখেছে রাজপথে থাকা সমমনা প্রায় সব দল।

কঠিন দুঃসময়ে বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করেনি দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বেশিরভাগ মিত্র। হাতে গোনা দুই একজন ছেড়ে গেলেও বেশিরভাগ মিত্র বিএনপির নেতৃত্বে অবিচল থেকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করেছেন। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন রয়েছে আত্মতৃপ্তি, তেমনই পাশে থাকা সঙ্গীদের প্রতিও রয়েছে সতর্ক দৃষ্টি।

বিএনপি-সমমনা দলগুলোর নেতারা বলছেন, সরকারের সঙ্গী হয়ে যারা নির্বাচনে যাচ্ছেন, আন্দোলনের মাঠ বা সংগঠনে তারা একেবারেই গুরুত্বহীন। বরং দল এখন ‘জঞ্জালমুক্ত’ হচ্ছে, যা আন্দোলনে আরও গতি বাড়াবে।

গুঞ্জন আছে, ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের ভোটে নিতে জোর তৎপরতা শুরু করে সরকার। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন পর্যন্ত সরকারের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করে নেতাকর্মীদের আত্মগোপনে থাকার নির্দেশনা দেয়। এছাড়া প্রার্থী হওয়ার মতো নেতাদের মধ্যে যারা কারাগারের বাইরে রয়েছেন তাদের সঙ্গে রাখা হয় নিবিড় যোগাযোগ।

সরকারের ‘প্রলোভন’ আর বিএনপির ‘আত্মগোপন’ কৌশলে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন পর্যন্ত দেখা যায় বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং দলটির সাবেক কয়েকজন এমপিসহ জেলা পর্যায়ের কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া সমমনা একটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। নিজ দল থেকে বহিষ্কৃত কিছু নেতাও হয়েছেন ভোটের প্রার্থী।

ভোট বা আন্দোলনের মাঠে প্রভাব রাখেন এমন মাপের কোনো নেতা এখনো নির্বাচনমুখী না হলেও বিএনপিতে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছিল দুটি দল। রাজনীতির মাঠে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা বিএনএম কিছুটা অস্বস্তির কারণ হয় বিএনপির জন্য।

তবে ভোট বা আন্দোলনের মাঠে প্রভাব রাখেন এমন মাপের কোনো নেতা এখনো নির্বাচনমুখী না হলেও বিএনপিতে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছিল দুটি দল। রাজনীতির মাঠে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা বিএনএম কিছুটা অস্বস্তির কারণ হয় বিএনপির জন্য। অনেকের মধ্যে আশঙ্কা ছিল, মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত ক্লান্ত হয়ে পড়া নেতাদের কেউ কেউ এ দল দুটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়ে যান কি না। তবে শেষপর্যন্ত এমন কিছু না হওয়ায় এখন আপাতত বিএনপিতে স্বস্তির বাতাস বইছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়- এমন আশঙ্কায় সতর্ক বিএনপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির মধ্যম সারির এক নেতা জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর আন্দোলন ছেড়ে যারা নির্বাচনের দিকে হাঁটছেন, তাদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত দুজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক- দুজনই জাতীয়ভাবে পরিচিত। তবে সংগঠন বা ভোটের মাঠে একদম অস্তিত্বহীন। পাঁচ শতাধিক সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে গোনা কয়েকজনকে নির্বাচনমুখী করতে পেরেছে সরকার।

তিনি বলেন ,যারা দল ছেড়েছেন তারা নিজেদের হতাশা থেকেই গিয়েছেন। কারা ভেবেছেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন কবে নাগাদ সফল হবে, কবে হবে সেই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। ততদিন পর্যন্ত রাজনীতিতে নিজের ভূমিকা রাখতে পারার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থাকবে কি না। সক্ষমতা থাকলেও পরিস্থিতির প্রতিযোগিতায় কাঙ্ক্ষি মনোনয়ন কপালে জুটবে কি না তা নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা থেকে যায়। সেই বিবেচনায় আগেভাগেই মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক রং পরিবর্তন করেছেন। এখন যারা মীরজাফর হয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সুবিধা বঞ্চিত হয়ে তারা দুই কূল হারান কি না তাও দেখার বিষয়। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো শতাধিক নেতাকে সরকার ফাঁদ পেতে বাগিয়ে নেবে। কিন্তু তাতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির চলমান যে আন্দোলন সেটি মূলত জনগণের চাওয়া। এখান থেকে বিএনপির পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। নির্বাচনের নামে যে নাটক মঞ্চায়ন করার চেষ্টা চলছে, সেখানে দল ভাঙার চেষ্টা কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে আনার চেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে। আগুনে পুড়ে যেমন লোহা ইস্পাত হয়, তেমনি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে সময়ের পরিক্রমায় বিএনপি ও সমমনা জোটের নেতাকর্মীরা উত্তীর্ণ হয়েছেন। দুই-একটা যা ব্যতিক্রম ঘটেছে তারা ইতিহাসে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’

দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। যে কয়জনকে সরকার দল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পেরেছে- তারা কেউ এই দলের আদর্শিক কর্মী নন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এদের দল পরিবর্তনের ইতিহাস অনেক আগে থেকে আছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় গড়ে ওঠা দেশবরেণ্য সব নেতৃত্ব তারেক রহমানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঐক্যবদ্ধ আছে।’

 

তিনি বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। যারা আজ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী এবং যোগ্যতা কী এটা বিশ্লেষণ করলেই দেশবাসী উপলব্ধি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, অন্যের দলকে ভাঙতে গিয়ে নিজের দল আজ বিভক্তির পথে। ৩০০ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন চার শতাধিক। মেরুদণ্ডহীন দলগুলো করুণার অপেক্ষায় অপেক্ষা করছে। রাশেদ খান মেননের (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি) মতো মানুষকে আজ নির্বাসিত হয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে চলে যেতে হয়েছে।’

 

এসব বিষয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সঙ্গে। দল থেকে বেরিয়ে যারা এই নির্বাচনের অংশ হচ্ছেন, তারা দলের কোনো পর্যায়েরই গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা নন দাবি করে সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা জানি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে অনেককে। এরপরও কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাননি, যাবেনও না।’

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৫:০২
  • দুপুর ১১:৪৭
  • বিকাল ৩:৩৬
  • সন্ধ্যা ৫:১৫
  • রাত ৬:৩১
  • ভোর ৬:১৬