নিজস্ব প্রতিবেদক:- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কয়েকটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ফেলে বেড়িবাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সোমবার রাত এরকম কয়েকটি ঘটনা ঘটে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁও, কাদিপুর, ভেটুখালি, ভুরাখালি নামক জায়গায়। পরে মসজিদের মাইকে বেড়িবাঁধ রক্ষার ঘোষণা দেওয়া হলে চার গ্রামের শতাধিক মানুষ বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ চালান।
কৃষক এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁও গ্রামের হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে। যার মাধ্যমে সাতটি স্পটে খালেরমুখ বন্ধ করার কথা। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় গোড়ারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের খালের মুখের বেড়িবাঁধ ধসে যায়। গোড়ারগাঁও গ্রামের কৃষকদের নজরে এলে তারা গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে বেড়িবাঁধ রক্ষার আহ্বান জানালে গোড়ারগাঁও, মজিদপুর,নাদামপুর, ইজলা গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন।
নাদামপুর গ্রামের বাসিন্দা কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গোড়ারগাঁও গ্রামের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ ধসে গেছে। এ বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকলে উপজেলার বৃহৎ হাওর নলুয়ার হাওরে পানি ঢুকে ফসলহানির শঙ্কা থাকে।
সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, সঠিকভাবে বেড়িবাঁধের কাজ না হওয়ায় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার আগেই ধসে গেছে বেড়িবাঁধ। পরে আশপাশ কয়েক গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
আমি এলাকাবাসীর সাথে সহযোগিতা করে ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন,গোড়ারগাঁও স্কুলের পাশের বেড়িবাঁধটি পাউবোর একটি বেড়িবাঁধ। খোঁজ নিয়ে দেখছি।