জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:- নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ৮০ টি ড্রাম জগন্নাথপুর উপজেলার একটি ওয়ার্ডের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী পাননি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আশারকান্দী ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড এর সাবেক সদস্য জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ পত্র সুত্রে জানাযায়, খাদ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে দরিদ্র অনগ্রসর ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী ও দুর্যোগ প্রবন এলাকার জনসাধারণের নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের লক্ষে হাউস হোল্ডস সাইলো সরবরাহ এর আওতায় দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় সম্প্রতি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ৬ হাজার প্লাস্টিকের ড্রাম বিতরণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ এর জনপ্রতিনিধি কর্তৃক নামের তালিকা করে জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ এর কথা। এ নীতিমালা অনুযায়ী আশারকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ এর ৩ নং ওয়ার্ড এর সদস্য জাকির হোসেন ( বর্তমানে সাবেক সদস্য) বিগত প্রায় ৭ মাস আগে তার ওয়ার্ড এর ৮০ জনের একটি নামের তালিকা প্রেরণ করেন। গত একমাস আগে এই ইউনিয়নে ড্রাম বিতরণ শেষ হলেও ৩ নং ওয়ার্ড এর একজন লোকও ড্রাম পাননি। এ ব্যাপারে সাবেক সদস্য জাকির হোসেন গত ১০ ই মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, আমাদের আশারকান্দী ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ডের ৮০ জনের মাঝে একজনও ড্রাম পায়নি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ৩ নং ওয়ার্ড এর বর্তমান মেম্বার আব্দুল তাহিদ এবং ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এর মহিলা সদস্য লজনু খানম ড্রাম গুলো বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন। এবিষয়ে বার বার যোগাযোগ করেও তাদের নিকট হতে কোনো সদুত্তর না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
আশারকান্দী ইউনিয়ন এর তিলক গ্রাম নিবাসী দিনমজুর লিটন খান বলেন, আমার নাম তালিকায় থাকার পরও ড্রাম পাইনি।
৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল তাহিদ বলেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার দপ্তরে যোগাযোগ করেও আমি কোন ডাম পাইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।
আশারকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বলেন, তালিকায় নাম থাকলে ড্রাম পাওয়ার কথা। কেন পাননি খোঁজ নিয়ে দেখব।
এবিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দু রব বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার জন্য ৬ হাজার ড্রাম বরাদ্দ আসে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ সমূহে হস্তান্তর করেছি। তারা বিতরণ করার কথা। এর বাইরে কিছুই জানিনা।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।