দৃক নিউজ২৪, ডেস্ক:- ভারত নেপাল ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ সম্ভব
পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণসহ বহুমাত্রিক সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও ভারতের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রেল যোগাযোগের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন সাধন করে চলেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে আটটি পয়েন্টে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল এরইমধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। অচিরেই বাকি তিনটি চালু করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, রেল বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. আবু জাফর মিয়া প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সভা শেষে মন্ত্রী পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের
সমীক্ষা ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে ৪৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার নতুন রেললাইন, পাঁচটি স্টেশন, চারটি ব্রিজ, ১৪টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এজন্য ৮৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। যার প্রক্রিয়া চলমান। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন রেললাইন ও রেলস্টেশন নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা।