দৃক নিউজ২৪, ঢাকা:-রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পরে এক রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৮১৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। প্রতিমাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় সাড়ে নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে (জুলাই) প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পঠিয়েছেন। একক মাস হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুনে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
জানা গেছে, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
More News Of This Category