নিজস্ব প্রতিবেদক #
মিয়ানমার সরকারের রোষানলের স্বীকার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ কর্তৃক নির্যাতিত নিপীড়িত বাংলাদেশের কক্সবাজারে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার ৪ দিনের ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাগেছে।বিগত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে এ কর্মসূচি চলে ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এতে অসহায় মজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার প্রধান উপদেষ্টা মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল-ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া, কুতুপালং ও টেকনাফসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নগদ অর্থ বিতরণ করেন । এসময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিবে। তবে এসকল অসহায় ক্ষুধার্থ মানুষের অন্ন বস্ত্রের সংস্থান করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
আল্লামা হুছামুদ্দীন ফুলতলীর নেতৃত্বে আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার একটি প্রতিনিধিদলও ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, আনজুমানে আল ইসলাহর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুর, নজীর আহমদ হেলাল, মাওলানা বেলাল আহমদ, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নুমান আহমদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিয কাওছার আহমদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। পুরো ত্রাণ কার্যক্রমে প্রায় কোটি টাকা নগদ বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া কাপড় সংগ্রহ কর্মসূচি ঘোষণা করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানুষের মানবেতর জীবন-যাপন দেখে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী গত মঙ্গলবার তাৎক্ষণিক সিলেটে কাপড় সংগ্রহ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ।
দুদিন ব্যাপী কর্মসূচিতে তালামীযে ইসলামিয়ার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরেবস্ত্রাদি সংগ্রহ করেন। অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কয়েক হাজার টন নতুন ও পুরাতন কাপড় দান করেন।
ইতোমধ্যে সিলেট সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিলা মাদরাসায় তা জমা হতে শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তালামীযে ইসলামিয়ার আরেকটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে বস্ত্র সামগ্রী কক্সবাজারে পৌছানো হবে।
More News Of This Category