কালের ঢোল:- পূর্ব আফ্রিকার জিবুতিতে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মিত হচ্ছে তুরস্কের অর্থায়নে। জিবুতির রাজধানী জিবুতি সিটিতে মসজিদটি নির্মাণ কাজ শেষে নামাজিদের জন্য উন্মুক্ত হবে আগামী দুই মাসের মধ্যে।
তুর্কি সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত দাতব্য সংস্থা ‘দ্য টার্কিস দিয়ানেত ফাউন্ডেশন’(টিডিভি) ২০১৭ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রাচীন ওসমানীয় শিল্প ও নির্মাণশৈলির নকশায় ভারত মহাসাগর উপকূলে জিবুতির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ১০ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে নান্দনিক নির্মাণশৈলিতে গড়ে তোলা হচ্ছে মসজিদটি।
মসজিদটিকে বলা হচ্ছে ‘তুরস্কের পক্ষ থেকে জিবুতির জন্য উপহার’। এ মসজিদে একত্রে ৫ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারবে।মূলকাঠামোর নির্মাণ কাজ শেষে এখন চলছে শেষ মূহুর্তের সৌন্দর্যবর্ধনের কিছু কাজ।
প্রকল্প ম্যানেজার ফুরকান কাজিম বলেন, মসজিদ ছাড়াও এর পাশে থাকবে একটি বাগান ও মাঠ যা অনেকটা তুরস্কের ঐতিহাসিক ব্লু মসজিদের স্টাইলে তৈরি। তিনি জানান, মসজিদের একটি অংশ থাকবে ভারত মহাসাগরের পানিতে, যে কারণে নির্মাণ কাজটি খুব চ্যালেঞ্জিং।
মসজিদটিতে থাকবে ৪৫ মিটার উঁচু দুটি মিনার, থাকবে একটি বড় ও চারটি ছোট গম্বুজ। ভেতরে থাকবে ঝুলন্ত ঝাড়বাতি। মসজিদ এলাকার একটি অংশ থাকবে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য, মাঠের মাঝখানে থাকবে একটি ঝর্ণা। মসজিদ তৈরির বেশির ভাগ উপকারণ আনা হয়েছে তুরস্ক থেকে।
জিবুতিতে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, দেশটিতে তুর্কি অর্থায়নে একটি শিশু হাসপাতাল ও একটি বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে তুরস্কের রজব তাইয়েব এরদোগানের সরকার। জিবুতি তার মধ্যে একটি রাষ্ট্র। আয়তনে ছোট হলেও ভারত মহাসাগরের তীরে ‘হর্ন অব আফ্রিকায়’ অবস্থিত দেশটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত ছোট্ট দেশ জিবুতির জনসংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। জনসংখ্যার ৯৪ শতাংশ মুসলিম। দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশি কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সহযোগি হয়েছে তুরস্কের একে পার্টির সরকার। তারই অংশ হিসেবে তৈরি হচ্ছে মসজিদটি।
সূত্র: অনলাইন