কাজী মাও: জালাল উদ্দিন:- এমন পশু দিয়ে কুরবানী দিতে হবে যা শরিয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা। এগুলোকে কোরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহীমাতুল আন-আম।’ শরিয়তের দৃষ্টিতে কুরবানীর পশুর বয়সের দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। উট পাঁচ বছরের হতে হবে। গরু বা মহিষ দু’বছরের হতে হবে এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বা হতে হবে এক বছর বয়সের। হাদিসে এসেছে, জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা অবশ্যই মুসিন্না (নির্দিষ্ট বয়সের পশু) কুরবানী করবে। তবে তা তোমাদের জন্য দুষ্কর হলে ছয় মাসের মেষশাবক কুরবানী করতে পার। (মুসলিম, ১৯৬৩)
গুণগত দিক দিয়ে উত্তম হল কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত ও দেখতে সুন্দর হওয়া।
কুরবানীর পশু হতে হবে যাবতীয় দোষ-ত্রুটিমুক্ত। যেমন- হাদিসে এসেছে, বারা (রা.) আনহু থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন আর আমার হাত তাঁর হাতের চেয়েও ছোট, তারপর বললেন, চার ধরনের পশু, যা দিয়ে কুরবানী জায়েজ হবে না। (অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে পরিপূর্ণ হবে না) ১. অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট। ২. রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট। ৩. পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট এবং ৪. আহত। যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।
নাসায়ির বর্ণনায় ‘আহত’ শব্দের স্থলে ‘পাগল’ উল্লেখ রয়েছে। (তিরমিজি-১৫৪৬, নাসায়ি- ৪৩৭১,) তাই পশু ক্রয় করার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই লক্ষ্য রাখা জরুরি।
More News Of This Category