,
শিরোনাম
জগন্নাথপুরে জাতীয় ইমাম সম্মেলন সম্পন্ন হযরত মাওলানা মরহুম এমদাদুর রহমান (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে মীলাদ ও দোআ মাহফিল এবং অসহায় গরীবদের মাঝে কাপড়  বিতরণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে মামলা দায়ের বাতিল হতে পারে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্তে বেরিয়ে এলো যাদের নাম শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন ড. ইউনূস আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে দেয়া বিবৃতি পুরোপুরি মিথ্যা: জয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ উপদেষ্টা পরিষদের ৮ সিদ্ধান্ত

জুমআর নামাজে হেঁটে যাওয়ার ফজিলত

দৃক নিউজ২৪ডেস্ক:- প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর দিনের অনেক ফজিলত ঘোষণা করেছেন। জুমআর দিনের গোসল, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, মিসওয়াক, সুগন্ধি, তেল, জামা-কাপড় পরিধান থেকে শুরু করে মসজিদে আসা পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা ফজিলত বর্ণনা করেছেন।

জুমআর নামাজ আদায় করার গুরুত্ব অনেক বেশি। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে আয়াত নাজিল করে বলেছেন, ‘যখন জুমআর দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন দ্রুত পায়ে মসজিদের দিকে আল্লাহর স্মরণে এগিয়ে যাওয়া।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘তখন (জুমআর আজানের পর) যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয় হারাম হয়ে যায়।’

হজরত আতা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘শিল্প-কারিগরির যাবতীয় কাজই তখন নিষিদ্ধ হয়ে যায়।’

হজরত ইবরাহিম ইবনে সাদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ইমাম যুহরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, জুমআর দিন যখন মুয়াজ্জিন (কোনো ব্যক্তির) সফররত অবস্থায় আজান দেয়; তখন তার জন্য জুমআর নামাজে উপস্থিত হওয়া উচিত।’

কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জুমআর দিন মসজিদে আসতে পায়ে হেঁটে আসারও ফজিলত বর্ণনা করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-

হজরত আবরায়া ইবনু রিফাআ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি জুমআর নামাজে যাওয়ার সময় হজরত আবু আবস্‌ রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যার (যে ব্যক্তির) দু’পা আল্লাহর পথে ধূলি ধূসরিত হবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।’ (বুখারি)

অন্য হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌঁড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। সালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাআতের সঙ্গে নামাজ যতটুকু পাও তাই আদায় কর। আর যা ছুটে গেছে তা পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি)

সর্বোপরি কথা হলো, পায়ে হেঁটে মসজিদে গিয়ে জুমআর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঘোষিত ফজিলত লাভ করা মুসলিম উম্মাহর জন্য উত্তম। তাছাড়া নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য তাড়াহুড়ো করার কথা প্রিয়নবি নিষেধ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব ওয়াক্ত নামাজের সঙ্গে সঙ্গে জুমআর নামাজে অংশ গ্রহণের জন্য পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৫:০২
  • দুপুর ১১:৪৭
  • বিকাল ৩:৩৬
  • সন্ধ্যা ৫:১৫
  • রাত ৬:৩১
  • ভোর ৬:১৬