দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:-
হবিগঞ্জে কলেজ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন ছাত্র ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে মুচলেখা রেখে অভিভাবকদের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলেও গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছবি ও পরিচয় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ছবি গণমাধ্যমে পাঠিয়ে তাদেরকে হেনস্থা করাকে ‘ছোট অপরাধের বড় শাস্তি’ হিসেবেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গণমাধ্যমে ছবি পাঠানোর বিষয়টি আইন বর্হিভূত বলেও দাবি করছেন অনেকে। পুলিশের অতি উৎসাহী এমন কাজে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মুচলেখা দিয়ে মুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কলেজ ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা সদরের বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করা হয়। এর মধ্যে সহপাঠী ছাড়াও ভাই-বোন সম্পর্কেরও কয়েকজন ছিলেন। ফাস্টফুডের দোকান থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় এনে ৪ ঘন্টা রাখা হয়। পরে অভিভাবকদের খবর দিয়ে থানায় এনে তাদের জিম্মায় আটক কৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। এর কয়েক ঘন্টা পর মুচলেখা দিয়ে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছবিসহ সংবাদ সরবরাহ করা হয় স্থানীয় গণমাধ্যমে।
এতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীরা। পুলিশের এমন অতি উৎসাহী কাজের নিন্দা জানিয়েছেন হবিগঞ্জের অনেকে। বৃন্দাবন কলেজের শিক্ষার্থী রিপন আহমদ অভিযোগের সুরে বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা ফাস্টফুডের দোকানে যাওয়া কী কোন অপরাধ? কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই প্রাপ্ত বয়স্ক। নিজেদের ভালোমন্দ তারা বুঝেন। কলেজে ক্লাস না থাকলে তারা ফাস্টফুডের দোকান বা রেস্টুরেন্টে যেতেই পারেন। তারা তো কোন অনৈতিক কাজ করেনি।
বরং পুলিশ মঙ্গলবার অনৈতিক ভাবে অভিযান চালিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করেছে। কলেজের ক্যামেষ্ট্রি বিভাগের ল্যাব ইনচার্জ ইকবাল হোসেন জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের নাম-ঠিকানা দিয়ে যেভাবে থানা থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা উচিত হয়নি। এতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াটা স্বাভাবিক।