মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি#
জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কটি কুশিয়ারা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ২৬ কিলোমিটার সড়ক পথ ৬২ কিলোমিটারে পরিনত হয়েছে। সড়কের অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। ফলে ওই সড়কে সরাসরি যানচলা চল বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রকাশ, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্ননথপুরের শিবগঞ্জ – বেগমপুর সড়ক দিয়ে জগন্নাথপুর পৌরসভা ও উপজেলার আশারকান্দি, পাইলগাও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে পাইলগাও ইউনিয়নের পূর্ব জলালপুর ভাঙাবাড়ি নামক স্থানে কুশিয়ারা নদী ভাঙন শুরু হয়। কিছু সংস্কার কাজ করা করা হলেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতি বন্যায় মারাত্মকভাবে অত্র এলাকায় ভাঙ্গনের ফলে উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ছে।বিদায় পাইল গাঁও,আশারকান্দি ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষাধীক জনসাধারন চরম ভোগান্তির শিকার। জগন্নাথ পুর টু বেগম পুর সড়ক মাত্র ২৬ কিলোমিটার হলেও কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের কারনে ওসমানী নগর ও বিশ্বনাথ উপজেলা হয়ে নিজউপজেলা সদর জগন্নাথ পুরের সাথে প্রায় ৬২ কিলোমিটার জার্নি করে যোগাযোগ করছেন, পাইলগাঁও, আশার কান্দী, রানীগন্জ ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ। অব্যাহত নদী ভাঙনে সড়কটির এখন নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। জগন্নাথ পুরের শিবগঞ্জ টু বেগমপুর সড়কের প্রায় সাড়ে চারশত মিটার এলাকা নদী গর্ভে চলেগেছে। এ জন্য সরাসরি যানবাহন চালানো অসম্ভব্য হয়ে পড়েছে। সড়কের ভাঙাবাড়ি নাস্থক স্থানে যানবাহন রেখে অপর অংশের দক্ষিপাশে যানবাহন রেখে চলাচল করছে। যাতায়াতে যাত্রীদের দূর্ভোগের কারণে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানাযায়, শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কে ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ৮৪১ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। দুই কিলোমিটার কাজ করে বৃষ্টির কারনে বন্ধ হয়ে যায় সড়কের কাজ। নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় সড়কের অংশটুকু নতুন ভাবে স্থান পরিবর্তন করে সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে।
More News Of This Category