বশীর উদ্দীন আহমেদ:- কথায় বলে “পান পানি নারী ,এত তিনে জৈন্তা পূরী!”! প্রকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি সিলেটের জৈন্তা পুর অঞ্চল! কানাইঘাট,গোয়াইন ঘাট ও জৈন্তা উপজেলা সমন্বয়ে জৈন্তা পুর অঞ্চল! জানা যায় এককালে আলাদা জৈন্তা রাজ্য ছিল। রাজধানি ছিল জৈন্তায় ! রাজবাড়ী এখন ও বর্তমান!! এই অঞ্চলের মানুষ খুবই শজ সরল ও অতিথী পরায়ন! আমার চাকুরী জীবনের এক উল্ল্যখযোগ্য অন্ড জূড়ে রয়েছে জৈন্তা এলাকা! এ’প্নচলের মানুষের কথ্য ভাষাও ইন্টারেস্টিং! আসুন একটু স্মৃত চারণ করি!
মানুষ বৃদ্ধ হলেও তার মন নাকি সরস থাকে!! আমারো হয়েছে সেই অবস্থা! মানুষকে নাকি তার “আছল” মূলের দিকে টানে!! ইদানিং আমার বিভিন্ন কর্মস্থলের কথা মনে পড়ে!! আজকের কর্মস্থল কানাইঘাট!!
জিয়া উর রহমানের আমল! ইউপি নির্বাচন। কোন এক সুধীর বাবু তরোয়াল মার্কা নিয়ে খাড়া!! কানাই ঘাটের জনগণ স কে ছ বলেন! যেমন মশাকে বলেন মছা! নামের পিছনে অফিসার লাগানো থাকলে আপনি বাজারে গিয়ে যেখানে সেখানে চা-পানের দোকানে বসতে পারবেন না! পিয়াজী -চানা ভাজি খেতে মন চাইলেও না! আমি ডাকবাংলায় অবস্থান করে দারোয়ান মবশ্রীর আলী দিয়ে পিয়াজী-চানা ভাজি আনিয়ে খেতাম। অন্যথায় অফিসারী ভাব থাকেনা! মাঝে মাঝে বিলাল ডাক্তরের ফার্মেসিতে বসে পত্রিকা পড়ি! সে কালে ফার্মেসী দিলেই ডাক্তর!! হঠাত দেখি সূধীর বাবুর সমর্থনে মিছিল!! ” আমার ভাই তোমার ভাই…ছুদির ভাই ছুদির ভাই!! “ছুদির ভাইয়ের মার্কা কি…তোর বাল তোরবাল”। আমি বিশ্বয়ে হতবাক!! স্লোগান শুনে থ খেয়ে গেলাম!! সাথে সাথে মনে পড়ল কয়েক দিন আগে থানা শিক্ষা অফিসারের পিয়ন এসে বলল ” আমার ছাবে আপনারে ছালাম দিছইন”। আমি বললাম, অয়ালাইকুম সালাম! আমার ছাবে জিকাইছইন আপনে ফ্রী আছইন্নি” আমি বললাম আছি! কিছুক্ষণ পর টিইও সাহেব হাতে বৃত্তি পরীক্ষার খাতা নিয়ে হাজির! সমাজ পাঠ! প্রতিবেশী কাহাকে বলে? ছাত্রীটি লিখেছে “বাড়ির আছে পাছে যারা বছবাছ করে তাহাদেরকে প্রতিবেছি বলে”!! টিইও সাহেব বৃহত্তর নোয়াখালির লোক!! উনার হাসি থামছেনা না ! আমি বললাম এত হাসছেন কেন আপনারাওতো “প”কে “হ” বলেন! যেমন হানি কদু আর হান্তা ভাত!! উনি রসিক মানুষ বললেন সব সময় বলিনা যেমন পেপে কে তো আর হেহে বলিনা!উল্লেখ্য আমি ১৯৭৭ -৭৮ কানাইঘাট থানায় বিএডিসির কর্মকর্তা ছিলাম!! ১৯৮০ -৮১ সালে জৈন্তা পুর! অতপর পেট্রোবাংলার সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে হরিপুর!!
বশীর উদ্দীন আহমেদ
আটলান্টা,জর্জিয়া!!