বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদককে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আমাদের এগুতে বলেছেন। আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে যেসব সংবাদ আসছে সেজন্য আমরা হঠাৎ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সচিব, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলাম।
‘বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এর উৎস কি, ভুক্তভোগী করা। মাদক আমরা তৈরি করি না, মাদকদ্রব্য বাইরে থেকে আসে। তার ভুক্তভোগী হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। এই প্রজন্মকে রক্ষার জন্য কি কি করা যায়, এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ইদানিং আমরা দেখছি কয়েকটি ভয়ংকর মাদক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসছে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে যাতে না আসে নেই ব্যবস্থা করতে ডাক বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন স্ক্যানার বসিয়ে প্রত্যেকটা কুরিয়ার সার্ভিসের মালপত্র স্ক্যান করে ব্যবস্থা নেয়। যারা না মানবে তাদের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, ‘মাদককে নিরুৎসাহিত করার জন্য চাকরিতে ঢোকার সময় ডোপ টেস্ট এবং বছরে একবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ডোপ টেস্টের আওতায় আসবেন। ড্রোপ টেস্টে যারা পজিটিভ হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এই আওতায় থাকবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তি হবেন, নতুন শিক্ষকরা ডোপ টেস্টের আওতায় আসবেন আমরা সে রকম আলোচনাও করেছি।’
বৈঠকে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেসব মাদকদ্রব্য আসে সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’
ডোপ টেস্ট কবে থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আপনাদের জানিয়ে দেবে।