মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক:- সমাগত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জগন্নাথপুর এর সবকটি হাট-বাজার এর বিপনি বিতান গুলোতে উপচে পড়া মানুষের ভীড়। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। কেনাকাটায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন জগন্নাথপুরবাসী।
সিয়াম সাধনার পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাতেগনা আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকী। দিনকন ঠিক থাকলে ১৪ ই মে শুক্রবার সমাগত ঈদুল ফিতর। মরনব্যাধী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মূখে মাস্ক পড়ে চলাচলের উপর সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্বেও এই ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার সহ সবকটি হাট-বাজার এর বিপনি বিতান গুলোতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাস্ক বিহীন উপচে পড়া ভীড়। এমনকি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতিমালাকে উপেক্ষা করে চলছে ক্রয়-বিক্রয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পা ফেলার জায়গা নাই। মরনব্যাধী করোনা ভাইরাস এর সংকটময় মুহূর্তে ভয়ভীতির বালাই নেই জগন্নাথপুরবাসীর মধ্যে। গায়ে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করছেন জনসাধারণ। কানে ও থুতনিতে মাস্ক ঝুলানো থাকলেও নাক- মূখে নেই। ১০ ই মে সোমবার জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার সহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
একান্ত আলাপকালে একাধিক ক্রেতা সাধারণ বলেন, এখন মনে হয় করোনা কমে গেছে। অনেকেই তো বের হচ্ছেন। তাইতো আমরাও বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হয়েছি। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবো। বাকিটা আল্লাহ উপর ভরসা।এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, করোনার মধ্যেও তো ঈদ করতে হবে। এ কারণেই কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘোরাঘুরি কম করছি, পছন্দ হলেই কিনে নিচ্ছি পছন্দের পোশাক।
বিক্রেতারা বলেন, আজ ভীড় বেশি। কিন্তু বেচা-বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
জামাল/এস/এস
More News Of This Category