কালের ঢোল:- সবজি চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সবজি চাষি আশরাফুল ইসলাম।
শীতকালিন সবজি মৌসুমে এ অঞ্চলে সবজির ফলন না হলেও এই কৃষকের ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে।
সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প শোনালেন উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের মো: আশরাফুল ইসলাম ।
সরজমিনে গেলে চাষি আশরাফুল জানান, বেকারত্ব জীবন ও দরিদ্রতার কারনে বেশী পড়া লেখা করতে পারিনি। তাই চাষে মনযোগী হই । প্রথমে নিজের কিছু পতিত জমিতে সবজি চাষ শুরু করি। পরে ৬০ শতক জমি নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে সবজির চাষ শুরু করি।
বাজারে সবজির চাহিদা ভাল থাকায় প্রথমে লাউ, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ,সীম, পোটল, কাকরল, শশা, পেপে, জালিকুমড়া, শশীন্দা, বেন্ডি, পুইশাক, লাল শাক চাষ করি। এ সব সবজি বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভ হতে থাকে। ২০ হাজার টাকা খরচ করে এক মৌসুমে অর্ধলক্ষাধীক টাকার সবজি বিক্রি করি।
পরে সরকারী বেসরকারী ভাবে প্রশিক্ষন নিয়ে আশেপাশের জমি ইজারা নিয়ে ২ একর জমিতে সবজি চাষ করি। এখন সারা বছরই তার জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষ হচ্ছে। সবজি চাষ করে বর্তমানে তার সংসার চলে।
বর্তমানে সে তার জমিতে শীতকালিন সবজি, লাউ, ফুলকপি ও বাঁধাকপি, শসা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি খামার বাড়ির মতে আশরাফুল একজন আদর্শ সবজি চাষি। বিভিন্ন সময়ে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নেন।
তার দেখা দেখিতে এলাকায় অনেকেই সবজি চাষে ঝুকে পড়েছে। প্রাইকারী ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে সবজি কিনে গ্রাম গঞ্জের বাজারে বিক্রি করেন। তিনি জানান, এবছর তার জমিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বেচা কেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি জানান, সবজি চাষের শুরু থেকেই উপজেলা কৃষি মেলায় তার ফসল প্রদর্শন করেন। এতে তিনি বেশ কয়েকবার পুরুষ্কৃতিও হয়েছেন এবং এবার সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ট সবজি চাষী হিসাবে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকেও সম্মাননা পান। সবজি চাষে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী ও সন্তানেরা।
চাষি আশরাফুল, আরো জানান, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে বিনা মূল্যে সার ও কীটনাক ঔষধ, সহোগীতা পেয়েছি কয়েকবার, এবার পেয়েছেন স্প্রে মিশিন।
ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে সুখি জবিন যাপন করছেন আশরাফুল। তিনি সরকারী অনুদান, কৃষি যন্ত্র সহ কৃষি খামার বাড়ির সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।
More News Of This Category