দৃক নিউজ২৪ডেস্ক:-
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ২২ হাজার পৃষ্ঠার অসাধারণ দুর্লভ নথি রয়েছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব দুর্লভ নথি ডিক্লাসিফাইড করার নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগিরই জাতীয় আর্কাইভে এসব ঐতিহাসিক নথি হস্তান্তর করবে পুলিশ’। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (স্পেশাল ব্রাঞ্চের) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি-২০১৭ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার তিনি এই তথ্য জানান। আজ রাজধানীর মালিবাগে স্পেশাল পুলিশ ব্রাঞ্চের মাল্টিপারপাস হলে এ রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ডিআইজি (প্রশাসন) মীর শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এতে আরও বক্তব্য দেন ডিআইজি (রাজনৈতিক) মাহবুব হোসেন এবং বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এজেড এম নাফিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। বঙ্গবন্ধুকে না জানলে বাংলাদেশকে জানা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অনেক স্মৃতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের অনেক ঘটনার সাক্ষী স্পেশাল ব্রাঞ্চ’। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২২ হাজার পৃষ্ঠার অসাধারণ দুর্লভ নথি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্লভনথি ডিক্লাসিফাইড করার নির্দেশ দিয়েছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় আর্কাইভে এসব ঐতিহাসিক নথি হস্তান্তর করা হবে।তিনি আরও বলেন, ‘এই নথি গবেষণার ক্ষেত্রে হবে গুরুত্বপূর্ণ দলিল। সেখান থেকে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আগ্রহী গবেষকদের গবেষণা করার দ্বার উন্মোচিত হবে।
’ডিআইজি (প্রশাসন) মীর শহীদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার মাধ্যমে একটি জাতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়। তিনি প্রায়১৪ বছর জেল খেটেছেন। বাঙালির স্বাধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শোষণ ও বঞ্চনাহীন স্বাধীন রাষ্ট্র বিনির্মাণই তার আদর্শ। ডিআইজি (রাজনৈতিক) মাহবুব হোসেন বলেন, একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে অরাজকতার মধ্যে নিমজ্জিত করতে চেয়েছিল।
বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশকে উন্নতির দিকে ধাবিত করেছে। রক্তদান কর্মসূচিতে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৬৪ জন বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মকর্তা রক্তদান করেন।