দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- আমি বাংলা চলচ্চিত্রের একজন কৌতুক অভিনেতা। কিন্তু আমার মতো কৌতুক অভিনেতারা চলচ্চিত্রে কোনো গুরুত্ব পাচ্ছেন না। আমাদের চরিত্র নিয়ে পরিচালক, চিত্রনাট্যকাররা একদম ভাবছেন না। তাছাড়া ছবির নায়ক-নায়িকা থেকে প্রডাকশন খরচ বাবদ সবকিছুর বাজেট থাকলেও আমাদের মতো কমেডি অভিনেতাদের জন্য কোনো বাজেট রাখা হচ্ছে না।
চাপা কষ্ট নিয়ে জাগো নিউজকে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই ছবির সুপরিচিত কৌতুক অভিনেতা অভিনেতা চিকন আলী। তিনি বলছিলেন, এখনকার বেশিরভাগ ছবি তামিল, তেলেগুর রিমেক হচ্ছে। সেখানে নায়ক-নায়িকাদের চরিত্র ঠিক রেখে কমেডিয়ানদের চরিত্র বাদ দেওয়া হচ্ছে। দু-একটা ছবিতে যা রাখা হচ্ছে তাও মূল্যহীন। নির্মাতারা পাত্তাই দিচ্ছেন না কোথায় একজন কমেডি অভিনেতাকে ব্যবহার করা হবে সেটা নিয়ে।
এজন্য আমি সম্প্রতি তিনটি ছবির কাজ ছেড়ে দিয়েছি। ছবিগুলোর নাম বলতে চাই না। ওইসব ছবিতে আমার মতো কৌতুক অভিনেতার জন্য ভালো চরিত্র নেই, গল্প নেই; বাজেটও একেবারেই ভালো না। আমাকে ছবি থেকে বলা হয়েছে, আমি যদি কাজ না করি তবে নাটক থেকে কমেডি শিল্পী নেওয়া হবে। আমি কিছুই বলিনি। তবে কষ্টে পেয়েছি। শুধু শুধু আমি দর্শকদের ঠকাতে চাই না বলে ছবিগুলো ছেড়ে দিয়েছি।
চিকন আলী বলেন, ’৯০ দশক কিংবা তারপরে আমাদের দেশে কৌতুক শিল্পী যারা ছিলেন তারা প্রত্যেকেই ছবিতে ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হতেন। দিলদার, আফজাল শরীফ, কাবিলা ওনাদের ছবি দেখতেও অনেক মানুষ হলে যেতেন। এখন সেসব নেই। আমার মতো কৌতুক অভিনেতাদের জন্য ছবিতে স্পেস রাখলে, পারিশ্রমিক দিলে অবশ্যই প্রতিটি ছবি ভিন্নমাত্রা যোগ হবে। ভালো চরিত্র আর সঠিক পারিশ্রমিক চাই। যে কোনো চরিত্রের জন্য আমি প্রস্তুত।
২০০৬ সালে ‘রঙিন চশমা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চিকন আলীর। এরপর একে একে ১৬৯টি ছবিতে অভিনয় করে নির্মাতাদের ভরসার প্রতীক তিনি। বর্তমানে চিকন আলী কাজ করছেন বেপোরোয়া, পোড়ামন ২, নুরজাহান ছবিগুলোতে। এ ছাড়া তার অভিনীত অন্তর জ্বালা, ইনোসেন্ট লাভ, পাষাণ, জান্নাত ইত্যাদি ছবিগুলো রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।
More News Of This Category