,

জগন্নাথপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে, কৃষক -কৃষাণীর মূখে হাসি

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, সিনিয়র প্রতিবেদকঃ

জগন্নাথপুরের হাওর গুলোতে বোরো ধান কাটা শুরু হওয়েছে। কৃষক- কৃষাণির মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে।জনমনে আনন্দ -উল্লাস বিরাজ করছে। হাওরে হাওরে পাকা ও আধা পাকা ধান মৃদূ বাতাসের আলিঙ্গনে দুলছে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার (৮ ই এপ্রিল) সকালে সরজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওর সহ অন্যান্য ছোট বড় হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটা শ্রমিকদের সাথে জমির মালিকরাও আনন্দ-উল্লাসে ধান কাটছেন। এ সময় উপজেলার নলুয়ার হাওর পাড়ের চিলাউড়া গ্রাম নিবাসী কৃষক ছায়াদ বলেন, মাঠ ভরা সোনার ফসল ধানের মৌ মৌ সু-গন্ধে পেটের ক্ষুধা দুরে-বহুদুরে। এবার বোরো ফসল কাটতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। ধানের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। এবার আমি ৬ কেদার ২৮ ও ৬ কেদার ২৯ ধান চাষাবাদ করেছি। কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দী(শেখপাড়া) নিবাসী তাজিম আলী বলেন,হাওরে বিভিন্ন জাতের ধান এর ভাল ফলন হয়েছে। উচু জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে সবকটি হাওরে পুরুধমে ধান কাটা যাবে। প্রকৃতি অনুকুলে থাকলে গোলাভরে ধান তুলতে পারব।তিনি আরো বলেন,তবে ২৮ ব্রি জাতীয় ধান এর চাযাবাদকারী কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। কারন এই জাতীয় ধান গাছে ছিঠা রোগাক্রান্ত। অন্যান্য কৃষকরাও একই ভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়াও জমির পাকা ধান গোলায় তুলতে কৃষকরা শ্রমিক সংগ্রহ, ধান মাড়াইয়ের মেশিন সংগ্রহ, ধান শুকানোর খলা ও ধান রাখার গোলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রকৃতি অনুকুলে থাকলে আর মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা জমির ধান গোলায় তুলতে পারবেন বলে আাশাবাদী।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, এবার জগন্নাথপুরে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ব্রি ২৮ ধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রকৃতি অনুকুলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন গোলায় উঠবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাল সার কম দেয়া, তাপমাত্রার ভারসাম্যহীনতা সহ বিভিন্ন কারণে ২৮ ধানে সামান্য ছিটা হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। অন্য ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী জগন্নাথপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এসও) নাসির উদ্দিন বলেন, ধান কাটা শুরু হওয়াতে কৃষকদের সাথে আমরাও আনন্দিত। যদিও এবার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ খুবই ভাল হয়েছে। এরপরও প্রকৃতির সাথে কারো হাত নেই। যদি প্রকৃতি অনুকুলে থাকে তবে এবার বাম্পার ফসল পাবেন কৃষকরা।
উপজেলার নলুয়ার হাওর পাড়ের কলকলিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ তারা মিয়া বলেন,হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ গুলোর কাজ অত্যন্ত মজবুত ও টেকসই হয়েছে। এবার জমিতে বাম্পার ফসল ফলেছে।প্রকৃতি অনূকূলে থাকলে এই ফসল গোলায় তুলতে পারলে আল্লাহর রহমতে কৃষক -কৃষাণীর দুঃখ -কষ্ট ঘুচবে । এছাড়া ধান কাটা শুরু হওয়াতে কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে।

এবার জমির পাকা ধান কাটতে পেরে কৃষক-কৃষাণির মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। কৃষকদের সাথে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৪:২৮
  • দুপুর ১২:০০
  • বিকাল ৪:২৬
  • সন্ধ্যা ৬:১৬
  • রাত ৭:৩১
  • ভোর ৫:৪১