নিউজ২৪ ডেস্ক :- সিলেটের ৪৯ জন অস্বচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা দালান বাড়ি পেলেন। বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।লাল-সবুজের আদলে নির্মিত এসব বাড়ির নাম ‘বীর নিবাস’। সিলেট জেলায় ৭০টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৬৫টির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।প্রতিটি ‘বীর নিবাসে’ আছে দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি বসার ঘর, একটি রান্না ঘর ও একটি বারান্দা। সব মিলিয়ে ফ্লোর এরিয়ার আয়তন ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া বাইরের দিকে রান্না ঘর সংলগ্ন একটি পাকা উঠোন, টিউবওয়েল, টয়লেট, লাইভস্টক-শেড এবং পোল্ট্রি শেডেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় তিনটি, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথে দুইটি করেচারটি, দক্ষিণ সুরমায় একটি, কোম্পানীগঞ্জে ৯টি, জৈন্তাপুরে ৮টি, গোয়াইনঘাটে ১১টি, কানাইঘাটে চারটি, জকিগঞ্জে ৫টি, বিয়ানীবাজারে ৯টি ও গোলাপগঞ্জে ৫টি ‘বীর নিবাসের’ অনুমোদন হয়। এর মধ্যে সিলেট সদর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে সব ক’টি ‘বীর নিবাসের’ কাজ শেষ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আব্দুন নূর জানান, সরকারিভাবে প্রতি ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা অনুপাতে একটি করে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এ হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৯টি ‘বীর নিবাস’ পাওয়া গেছে। আরো দু’টি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাত্তরে ৪নং সেক্টরের সমশেরনগর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজমান আলী জানান, তার থাকার জায়গা ছিল না। অবস্থা খারাপ দেখেসরকার তাকে দালান ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। এতে তিনি খুবই খুশি।স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম মহসিন জানান, প্রতিটি ‘বীর নিবাসের’ ব্যায় ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনি জানান, এটা ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার।
২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৭০টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার নিয়ে কাজ শুরু করে। এর মধ্যে ৪৯টির নির্মাণ শেষ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। আরো ১৬টির কাজ দ্রুতগতিতে সম্পূন্ন করা হচ্ছে।
More News Of This Category