দৃক নিউজ২৪ ডেস্ক:- পৃথিবীর কাছে চলে আসায় চাঁদকে অপেক্ষাকৃত বড় ও উজ্জল দেখা যাবে আজ। তাই আকাশে তাকিয়ে থাকলে তথাকথিত “সুপারমুন” দেখতে পাবেন নক্ষত্রপ্রেমীরা।
অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ৭% বড় ও ১৫% উজ্জল দেখা গেলেও খালি চোখে এই পার্থক্য খূব একটা বোঝা যাবে না।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনেমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাশহুরুল আমিন মিলন বিবিসি বাংলাকে জানান দেশের সব জায়গা থেকে দেখা যাবে আজকের সুপারমুন। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে আকাশে দেখা যাবে পূর্ণ চন্দ্র।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির রবার্ট ম্যাসে বলেছেন মধ্যরাতে চাঁদ সবচেয়ে উজ্জল দেখা যাবে, যখন দিগন্ত থেকে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকবে।
১৯৪৮ এর পর গত বছর চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল। ২০৩৪ এর ২৫ নভেম্বরের আগে চাঁদ আর পৃথিবীর এত কাছে আসবে না।
এই রবিবারকে নাসা আগামী দুমাসের “সুপারমুন ট্রিলজি”র প্রথম পর্ব হিসেবে আখ্যায়িত করছে, যার পরের দু’টি দেখা যাবে জানুয়ারি ১ ও জানুয়ারি ৩১ তারিখ।
ডিসেম্বরের পূর্ণিমাকে সাধারনত শীতল চাঁদ (কোল্ড মুন) বলা হয়।
রবিবার দুপুরে চাঁদ যখন সূর্যের বিপরীতে থাকবে, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব হবে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ মাইল, যা গড় দূরত্ব ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ মাইলের চেয়ে কম।
মি. ম্যাসে বলেছেন, “সবচেয়ে নান্দনিক দৃশ্য” দেখা যাবে রবিবার চাঁদ ওঠার সময় আর সোমবার ভোরে চাঁদ ডুবে যাওয়ার সময়।
এটি একধরনের দৃষ্টিবিভ্রম, যা চন্দ্রবিভ্রম নামে পরিচিত। দিগন্তরেখার কাছাকাছি অবস্থানে এসময় চাঁদকে অস্বাভাবিক বড় দেখায়।
মি. ম্যাসে বলেন, “এটি চমৎকার একটি ঘটনা। মানুষের দেখার জন্য এটি সবসময়ই দারুণ একটি ব্যাপার” .
“আপনার মনে না’ও হতে পারে এটি বিশাল। স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বড় দেখা যাবে এটিকে। তবে পাঁচগুন বড় চাঁদ দেখার আশা করবেন না।”
চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে বৃত্তাকারে ঘোরে না। এটি অনেকটা উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
অর্থাৎ পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব সবসময় সমান হয় না, কক্ষপথের বিভিন্ন স্থানে দূরত্বের তারতম্য হয়।
কিন্তু সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর পরিভ্রমণের কারণে এই অসম কক্ষপথের মধ্যেও পরিবর্তন হয়ে থাকে
এর অর্থ পৃথিবী থেকে চাঁদের কক্ষপথের নিকটতম অবস্থান আর পূর্ণ চন্দ্রের অবস্থান সবসময় এক হয় না।
কক্ষপথের এই নিকটতম অবস্থান পূর্ণ চন্দ্রের অবস্থানের সাথে মিলে গেলে সেই উপলক্ষকে সুপারমুন বলা হয়।
More News Of This Category