বাংলাদেশের শাড়ি ও লুঙ্গি পরেছে কোরিয়ান শিশুরা
জেনে অবাক হবেন এসব শেখাচ্ছেন কোরিয়াতে পড়তে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাই। কোরিয়ান শিশুরা বলে ‘দামুনা সংসেনিম’ অর্থাৎ ভিনদেশি শিক্ষিক।গ্লোবাল লিডার, সিউল গ্লোবাল সেন্টার, গ্লোবাল এডুকেশন সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কোরিয়ান স্কুলে ৬ সপ্তাহের পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী এই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের পতাকা আঁকছে এক কোরিয়ান শিশু এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকে বাংলাদেশি রীতির অভ্যর্থনা, জাতীয় ফুল, মাছ, পশু, বাংলাদেশি পোশাক, পারিবারিক পরিচিতি, দেশিয় গান, বাদ্যযন্ত্র পরিচিতি, নৃত্য, বাংলাদেশি খেলা, মুদ্রা ও আর্থিক নোট পরিচিতি, যানবাহন, খাদ্যাভ্যাস, গ্রামীণ জীবন ও ভাষা।
কোরিয়ান শিশুকে শাড়ি পরতে সহযোগিতা করছে কিয়ং হি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসানা চৌধুরী
শুধু কাগজে-কলমে এই শিক্ষা সীমাবদ্ধ না রেখে কোরিয়ান শিশুদের দেয়া হয় বাংলাদেশি পোশাক পরিধানের সুযোগ কিংবা বাংলাদেশি রান্নায় অংশ নেওয়ার উৎসাহ। বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাসের সাথে পরিচিত হচ্ছে শিশুরা সবচেয়ে জনপ্রিয় সপ্তাহটি হয় গান ও নাচের। কোরিয়ান বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের তবলা ও বাঁশির মিল থাকায় তারা বেশ আগ্রহ নিয়ে গান ও নাচের অনুকরণ করার চেষ্টা করে। ছয় সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত আনন্দ শিক্ষা শেষে তারা তাদের ‘দামুনা সংসেনিম’ অর্থাৎ ভিনদেশি শিক্ষিককে বিদায় দেয় ভালবাসার সাথে। বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাসের সাথে পরিচিত হচ্ছে শিশুরা
সকাল বেলার শান্তির দেশ কোরিয়ায় এক টুকরো বাংলাদেশ ছড়িয়ে দিতে পারা বাংলাদেশিদের জন্য নিঃসন্দেহে এ এক ভালবাসার কাজ। একদিন লাল সবুজের এই পতাকাটা তাদের মাধ্যমেই চিনে নিক বিশ্ববাসী, এমনটাই স্বপ্ন দেখেন তারা।লেখক: শিক্ষার্থী, কেডিআই স্কুল অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, দক্ষিণ কোরিয়া
সূত্র:- বিডিনিউজ