দৃক নিউজ২৪, ডেস্ক:- কোভিড মহামারীর বাধা কাটিয়ে অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যার জন্য নয় মাস ধরে অপেক্ষা করছিলেন মাধ্যমিকের সোয়া ২২ লাখ শিক্ষার্থী।
রোববার বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার মাধ্যমে সকাল ১০টায় শুরু হবে দেড় ঘন্টার এ পরীক্ষা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে এ জন্য মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্র বাড়তি সতর্কতা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এবারের পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
২০২০ সালের তুলনায় এ বছর এসএসসিতে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বা ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এছাড়া ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল ও ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভকেশনাল পরীক্ষায় বসবেন।
এদের মধ্যে ৫ লাখ ৬ হাজার ৮৩১ জন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে, ৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫ জন মানবিক বিভাগ থেকে ও ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮২ জন বাণিজ্য বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেবেন।
মহামারীর বিবেচনায় এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে শুরুর পরদিন সোমবার সকালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা এবং বিকালে হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা হবে।
১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে রসায়ন (তত্ত্বীয়), ১৮ নভেম্বর সকালে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়), ২১ নভেম্বর সকালে ভূগোল ও পরিবেশ এবং বিকালে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
বাংলা, ইংরেজির মত আবশ্যিক বিষয়গুলোতে এবার পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
এ বছর দেশের বাইরে নয়টি কেন্দ্রে (জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলী, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন, ওমানের সাহাম ও গ্রিসের এথেন্স) ৪২৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিবে।
দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর আগেই মাধ্যমিকের পরীক্ষা শেষ হয়।
তবে কোভিডের কারণে দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার নয় মাস পিছিয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে দেড় বছর পর প্রথম কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা নিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চাপ থাকলেও সংক্রমণ কমে আসলেই শুধু এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলে আসছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা না নিয়ে ‘অটোপাস’ দেওয়ার পরিকল্পনাও শুরু থেকে এড়িয়ে গেছে মন্ত্রণালয়।
গত সেপ্টেম্বরে স্কুল-কলেজে সরাসরি ক্লাস শুরুর পর এমন সময়ে সরকার এ পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে, যখন দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্তের হার দেড় শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
তবে এই পরিস্থিতিতেও পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দিয়ে এবার বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রগুলো।
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রে হাত জীবাণুমুক্ত করা ও তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাখা হয়েছে আইসোলেশন রুমও। কেন্দ্র এলাকায় অভিভাবকদের বাড়তি চাপও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এরই মধ্যে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রের কর্মী ছাড়া অন্য কাউকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রীও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
More News Of This Category